দফতরের কাজে চূড়ান্ত অনাস্থা মমতার, পাহাড়-পর্যটনে জোর দিয়ে কড়া বার্তা মন্ত্রীকে
উন্নয়নের সবুজে পাহাড়কে মুড়ে দেওয়ার বার্তা আগেই দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জিটিএ-র পর্যালোচনা বৈঠকে পর্যটন দফতরের সমালোচনা করে তিনি বুঝিয়ে দিলেন তিনি কাজ চান।
দার্জিলিং ভেঙে কালিম্পংকে আলাদা জেলা করার পর মঙ্গলবারই অতীত ভুলে পাহাড়কে এগিয়ে চলার বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিয়েছিলেন উন্নয়নের সবুজে পাহাড়কে মুড়ে দেওয়ার বার্তা। আর বুধবার জিটিএ-র পর্যালোচনা বৈঠকে পর্যটন দফতরের সমালোচনা করে তিনি বুঝিয়ে দিলেন তিনি কাজ চান, কাজ করলেই মিলবে পুরস্কার।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুই জেলাকে নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক করেন জিটিএ অফিসে। ছিলেন জিটিএ চেয়ারম্যান বিনয় তামাং থেকে শুরু করে পাহাড়ের অন্যান্য বোর্ডের নেতৃত্বও। ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী-আমলারা। তাঁদের সকলের সামনেই মুখ্যমন্ত্রী পাহাড় উন্নয়নে বিশেষ জোর দেন। জোর দেন পাহাড়ের পর্যটন শিল্পে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিভিন্ন দফতরের কাজে বিলম্ব হওয়ায়। তিনি জানতে চান কেন এত বিলম্ব? ফান্ড আছে কি না, তাও জানতে চান মমতা। বলেন, ফান্ড যখন আছে, কাজ করতে এত দেরি হওয়ার কারণ কী! এই পরিস্থিতিতে পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবকেও ছাড়েননি মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে বলেন, উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী থাকাকালীন ভালো কাজ করতে, এখন কাজে এত ঢিলেমি কেন? তিনি কারও কোনও ঢিলেমি বরদাস্ত করবেন না।
[আরও পড়ুন: ১৮ বছর বয়সে বিজেপি রাজনীতি! খুনের অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে সরগরম রাজনীতি]
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই পর্যালোচনা বৈঠক থেকেই বার্তা দেন, পাহাড়ে পর্যটন হল প্রধান শিল্প। এই শিল্পে বিশেষ জোর দিতে হবে। পাহাড়ে হোটেল, হলিডে হোম, রেস্টুরেন্ট তৈরি করতে হবে আরও। এত মানুষ পাহাড়ে আসছেন, পর্যটকের ভিড় বাড়ছে, তাঁদের থাকা খাওয়ার বন্দোবস্ত না করলে, তাঁরা পাহাড়ে আসবে কেন? তাই কালবিলম্ব না করে কাজ শেষ করার আর্জি জানান তিনি। মুখ্যমন্ত্রী এদিন হোম স্টে-তে বাড়তি গুরুত্ব দেন। পাশাপাশি অন্যান্য প্রকল্পের কাজও দ্রুত শেষ করার আর্জি জানান। বলেন পাহাড়ে রাস্তা ও খাবার জলেরো সমস্যা রয়েছে। রাস্তায় সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকে গাড়ি। সেইসব সমস্যা দ্রুত মেটাতে হেব।
এদিন পর্যালোচনা বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করে দেন, প্রত্যেক বোর্ডকে উন্নয়ন খাতে যে টাকা দেওয়া হচ্ছে, তার হিসেব দাখিল করতে হবে। নি.মিত অডিট করতে হবে। হিসেব খতিয়ে দেখেই ভবিষ্যতের ফান্ড প্রস্তুত করা হবে। কোনও অনিয়ম হোক চান না তিনি। দুর্নীতি-অনিয়ম থেকে দূরে থাকার বার্তা দেন প্রতিটি বোর্ডকেই। ভালো কাজ করলে পাহাড়ের জন্য বেশি বরাদ্দ করবেন তিনি।