ওমিক্রন আতঙ্কের মধ্যে আদৌ কি হবে গঙ্গাসাগর মেলা? মুখ্যমন্ত্রী মমতা তুলনা টানলেন কুম্ভমেলার সঙ্গে
ওমিক্রন আতঙ্কের মধ্যে আদৌ কি হবে গঙ্গাসাগর মেলা? মুখ্যমন্ত্রী মমতা তুলনা টানলেন কুম্ভমেলার সঙ্গে
করোনা (Coronavirus) পরিস্থিতিতে গঙ্গাসাগর (Gangasagar) মেলার ওপরে কোনও বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে না। এদিন গঙ্গাসাগরে এমনটাই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এবারের মেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে তিনি গঙ্গাসাগরে গিয়েছিলেন। রাজ্যের করোনা পরিস্থিতিতে গঙ্গাসাগর মেলার আয়োজন নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে কুম্ভমেলার (Kumbhmela) ওপরে কি কোনও বিধিনিষেধ (restriction) আরোপ করা হয়েছিল?
কীভাবে বাধা দেবো?
এদিন মুখ্যমন্ত্রী গঙ্গাসাগর মেলার ওপরে বিধিনিষেধ আরোপ করার বিরোধিতা করে বলেন, উত্তর প্রদেশ, বিহার-সহ দেশের বিভিন্ন অংশ থেকে যেসব মানুষ আসছেন, তাঁদের কীভাবে বাধা দেবো? প্রসঙ্গত দেশের তথা রাজ্যের অন্যতম জনপ্রিয় মেলাগুলির মধ্যে অন্যতম হল গঙ্গাসাগর মেলা। এই মেলায় অংশ নিতে আর গঙ্গার মোহনায় সাগরে ডুব দিতে লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রতিবছর আসেন গঙ্গাসাগরে। এবার সেই মেলা বসতে চলেছে ৮ জানুয়ারি থেকে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত।
কোভিড বিঝি কঠোরভাবে পালনের নির্দেশ
মুখ্যমন্ত্রী গঙ্গাসাগর মেলার আয়োজন নিয়ে ইতিমধ্যেই সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সেই বৈঠকে তিনি করোনাবিধি মানতে কঠোরভাবে নির্দেশ দিয়েছেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের তরফে মেলায় সিসিটিভির পাশাপাশি ড্রোনে নজরদারির বন্দোবস্ত রাখা হচ্ছে। এর মাধ্যমেই জমায়েত এড়ানোর বন্দোবস্ত করা হচ্ছে প্রশাসনের তরফে। ওমিক্রন আতঙ্কের মধ্যে যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা যায়, তার জন্যও চেষ্টা করা হচ্ছে প্রশাসনের তরফে।
করোনা নিয়ন্ত্রণে মুখ্যমন্ত্রী ভাবনা
মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, ৩ জানুয়ারি থেকে কলকাতায় কন্টাইমেন্ট জোন তৈরির কথা চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। পাশাপাশি লোকাল ট্রেনের সংখ্যাও কমানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। স্কুল-কলেজ কি ফের বন্ধ করা হবে, সেই প্রশ্নের উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, স্কুল-কলেজের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হচ্ছে। ১ ও ২ জানুয়ারি সরকারি আধিকারিকরা স্কুলগুলিতে পরিদর্শন করবেন। পাশাপাশি প্রয়োজন পড়লে ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে ফের ওয়ার্ক ফ্রম হোমের পরিকল্পনাও রাখা হচ্ছে। বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের থেকে রাজ্যে ওমিক্রন সংক্রমণের অভিযোগ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, এব্যাপারে বিমান বন্দরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
১৭৭ দিন পরে রাজ্যে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ১০০০
১৭৭ দিন পরে বুধবার রাজ্যে ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এক হাজার পার করেছে। সারা রাজ্যে ১০৮৯ জন আক্রান্তের মধ্যে শুধুমাত্র কলকাতাতেই আক্রান্তের সংখ্যা ৫৪০ জন। কলকাতার পরেই আক্রান্তের নিরিখে এগিয়ে উত্তর ২৪ পরগনা। এছাড়াও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, বীরভূম এবং নদিয়া জেলার পরিস্থিতিও খারাপ। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, অভ্যন্তরীণ আলোচনায় কলকাতায় গোষ্ঠী সংক্রমণের ইঙ্গিত করা হচ্ছে। অন্যদিকে রাজ্যে প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা খুব কম সময়ের মধ্যে ৩০ হাজার পার হয়ে যেতে পারে।