দিদি কি চাইছেন পঞ্চায়েত সদস্যরা যান গেরুয়া শিবিরে! দলীয় নেত্রীর প্রশ্নে শোরগোল
দিদির বিচার কী? দিদি কি চাইছেন পঞ্চায়েত সদস্যরা তৃণমূলে যোগ দিক। সিঙ্গুর এলাকায় দুই বিধায়কের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে এমনই প্রশ্ন ওঠে এল এলাকার এক নেত্রীর গলায়। শুক্রবার সেই আঁচ পৌঁছে যায় কালীঘাটেও।
দিদির বিচার কী? দিদি কি চাইছেন পঞ্চায়েত সদস্যরা তৃণমূলে যোগ দিক। সিঙ্গুর এলাকায় দুই বিধায়কের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে এমনই প্রশ্ন ওঠে এল এলাকার এক নেত্রীর গলায়। শুক্রবার সেই আঁচ পৌঁছে যায় কালীঘাটেও। এদিন কালীঘাটে গিয়েছিলেন পঞ্চায়েতের চার তৃণমূল সদস্য ও পঞ্চায়েত সমিতির দুই তৃণমূল সদস্য।
শুক্রবার সিঙ্গুর ব্লকে ১৫ টি পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন ছিল। সূত্রের খবর অনুযায়ী, তৃণমূলের দলীয় স্তরে সিদ্ধান্ত হয়েছিল সিঙ্গুর দুনম্বর পঞ্চায়েতের প্রধান হবেন, দলীয় টিকিটে নির্বাচিত বিজলী ঘোষ। এলাকায় তিনি রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের অনুগামী বলে পরিচিত। কিন্তু ভোটাভুটিতে প্রধান নির্বাচিত হন বেচারাম মান্না শিবিরের জবা কর্মকার। যিনি নির্দল হিসেবে জিতেছিলেন।
শুধু এখানেই নয়, সিঙ্গুর ব্লকের মির্জাপুর-বাঁকিপুর পঞ্চায়েতেও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এখানকার ১৫ টি আসনের মধ্যে ১১ টি তৃণমূল দখল করেছিল। যার মধ্যে রবীন্দ্রনাথ গোষ্ঠী সাতটি ও বেচারাম গোষ্ঠী ৪ টি আসন পায়। এছাড়াও নির্দল এক, সিপিএম দুই ও বিজেপি একটি আসন দখল করে। সুরেন্দ্রনাথ পাখিরাকে প্রধান করার বিষয়ে দলে কথা হয়েছিল। তিনিও সিঙ্গুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। কিন্তু প্রধান নির্বাচিত হন বেচারাম গোষ্ঠীর সুকুমার দে। যদিও তিনি সরাসরি তৃণমূলের সমর্থন পাননি। সিপিএম-এর দুজন, বিজেপির একজন এবং নির্দল এক সদস্যের সমর্থন পান তিনি।
বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যও। তিনি বলেছেন, দলীয় নির্দেশ অমান্য করে বোর্ড গঠন করা হয়েছে। বিরুদ্ধ বেচারাম মান্না সেরকম কিছু না বললেও, এই জয়কে সাধারণ মানুষের জয় বলে অভিহিত করেছেন।
এছাড়াও কালীঘাটে গিয়ে অভিযোগ জানান, সিঙ্গুরের চার পঞ্চায়েত সদস্য এবং দুই পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে পুরো ঘটনা জানিয়ে চিঠি দেন তাঁরা।
রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য সিঙ্গুরের এবং বেচারাম মান্না পাশেরই হরিপালের তৃণমূল বিধায়ক। পঞ্চায়েতে টিকিট বিলির সময় থেকেই দুজনের মধ্যে রেষারেষি চলছিল বলে স্থানীয় সূত্রে দাবি।