ধূলাগড়ে গোষ্ঠীসংঘর্ষ, বোমাবাজি, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, জখম ৩০, রাজনৈতিক দলের প্রবেশাধিকার নেই
সাতদিন ধরে গোষ্ঠীসংঘর্ষ উত্তপ্ত হাওড়ার ধূলাগড়। দফায় দফায় সঙ্ঘর্ষে জখম হয়েছেন ধূলাগড়ের দেওয়ানঘাটা গ্রামের ৩০ জন। ব্যাপক বোমাবাজি, বাড়িঘর ভাঙচুর, লুঠপাট, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
হাওড়া, ২১ ডিসেম্বর : সাতদিন ধরে গোষ্ঠীসঙ্ঘর্ষে উত্তপ্ত হাওড়ার ধূলাগড়। দফায় দফায় সঙ্ঘর্ষে জখম হয়েছেন ধূলাগড়ের দেওয়ানঘাটা গ্রামের ৩০ জন। ব্যাপক বোমাবাজি, বাড়িঘর ভাঙচুর, লুঠপাট, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। এলাকায় মোতায়েন রাখা হয়েছে পুলিশ।টহল দিচ্ছে র্যাফ, কমব্যাট ফোর্স। পুলিশ কোনও রাজনৈতিক দলকে এলাকায় ঢুকতে দিচ্ছে না। আগে কংগ্রেসকে ফিরিয়ে দেওয়ার পর গতকাল বিজেপি-র প্রতিনিদি দলকেও ঢুকতে দেয়নি এলাকায়।
এদিকে বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ধূলাগড়ে আক্রান্ত পরিবারগুলিকে পুনর্বাসন দিতে হবে। উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে। মঙ্গলবার বিজেপির রাজ্য প্রতিনিধিদলের মহিলা সদস্যরা গ্রাম পরিদর্শনে যান। কিন্তু তাঁদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি গ্রামে। গ্রামে ঢোকার আগেই তাঁদের আটকে দেওয়া হয়। অভিযুক্তদের অবিলম্বে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে বিজেপি।
১৩ ডিসেম্বর ঘটনার সূত্রপাত। দুই গোষ্ঠীর সঙ্ঘর্ষ বাধে গ্রামে। বোমাবাজি, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করা হয়। এলাকায় উত্তেজনা প্রশমনে যায় জেলা পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী। পুলিশি মধ্যস্থতায় ঝামেলা মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা হয়।
পুলিশ কোনোভাবেই এই ঘটনায় রাজনীতি হোক চাইছে না। সেই কারণেই মঙ্গলবার বিজেপির রাজ্য নেতা বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী, রাজকমল পাঠক, মৌসুমী বিশ্বাস, জেলা সভাপতি অনুপম মল্লিককেক ধূলাগড়ের দেওয়ানঘাটা গ্রামে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।