ভোট গ্রহণের শেষ লগ্নে উত্তপ্ত একাধিক জায়গা, নন্দীগ্রামে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ
পাঁচ জেলার ৩০টি আসনে এই মুহূর্তে ভোট গ্রহণ চলছে। প্রথম দফার ভোট গ্রহণের আর কয়েক ঘন্টা বাকি। শেষবেলায় বেশ কয়েকটা জায়গা থেকে অশান্তির খবর আসছে।
পাঁচ জেলার ৩০টি আসনে এই মুহূর্তে ভোট গ্রহণ চলছে। প্রথম দফার ভোট গ্রহণের আর কয়েক ঘন্টা বাকি। শেষবেলায় বেশ কয়েকটা জায়গা থেকে অশান্তির খবর আসছে।
একাধিক জায়গা থেকে বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষের ঘটনার খবর সামনে আসছে। যদিও ঘটনার খবর সামনে আসা মাত্র কেন্দ্রীয় বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছছে বলে জানা যাচ্ছে। অতীতের থেকে এবার অনেক বেশি নির্বাচন কমিশন সতর্ক। আর তাতে খুশি বিরোধীরা। যদিও একাধিক অভিযোগ নিয়ে ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে তৃণমূল
পতাকা ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা
পতাকা ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র পশ্চিম মেদিনীপুরের মোহনপুর। পাড়ুই গ্রামের একটি বুথের ঘটনা। তৃণমূল এবং বিজেপি সংঘর্ষে দুপক্ষেরই জখম ৪ জন। পরিস্থিতি এতটাই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে যে প্রথমে পরিস্থিতি সামলাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় রাজ্য পুলিশকে। যদিও এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যাপক কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যাপক লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। এরপর আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।
নতুন করে উত্তেজনা নন্দীগ্রামে
আগামী ১ লা এপ্রিল ভোট রয়েছে নন্দীগ্রামে। আর তার আগে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে নন্দীগ্রামে। সেখানে বিজেপি এবং তৃণমূলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যাচ্ছে। ঘটনায় বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। তৃণমূলের অভিযোগ, ইচ্ছাকৃত ভাবেই অশান্তির পরিবেশ বিজেপি তৈরি করতে চাইছে বলে অভিযোগ। অন্যদিকে, এই ঘটনার পরেই নন্দীগ্রাম থানায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী এজেন্ট শেখ সুফিয়ান। তাঁর নেতৃত্বে এখনও চলছে বিক্ষোভ। যদিও তৃণমূলের অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি।
কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে অতি সক্রিয়তার অভিযোগ
কেশিয়াড়িতে দাঁদরা কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে অতি সক্রিয়তার অভিযোগ উঠল। ঘটনার পরেই রাস্তা অবরোধ করেছেন স্থানীয়রা। তাঁদের দাবি, কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা গ্রামবাসীদের বাড়িতে এসে বিজেপিকে ভোট দিতে বলা হচ্ছে। এক মহিলার অভিযোগ, তিনি ঘুমোচ্ছিলেন। তাঁকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে নির্বাচন কমিশন।
রিগিং কম হয়েছে
নির্বাচন কমিশনের ভূমিকাতে খুশি বিজেপি। এদিন ভোট চলাকালীনই নির্বাচন কমিশন দফতরে যান কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ের নেতৃত্বে একটি দল। বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমি বাংলাতে রয়েছি। একাধিক ভোট দেখেছি। হিংসাও কম দেখিনি। তবে প্রথম দফায় ভোটে কম রিগিং হয়েছে। কম হিংসা হয়েছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকের। কৈলাশ বিজয়বরগীয় বলেন, ৯০ শতাংশ বুথে নির্বিঘ্নে ভোট হয়েছে। যদিও দ্বিতীয় দফায় আরও সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে বলে মনে করছেন আধিকারিকরা। কারণ প্রথম দফায় ভোটারদের ঘুষ দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে মনে করেন বিজেপি নেতা।