সন্ন্যাসিনী গণধর্ষণ মামলায় রায় ঘোষণা আদালতের, দোষীরা কে কোন শাস্তির মুখে
সন্ন্যাসিনী ধর্ষণকাণ্ডে একজনকে দোষীসাব্যস্ত করেন। অপর পাঁচজন ডাকাতির ঘটনায় দোষীসাব্যস্ত করা হয়। বুধবার এই মামলায় রায় ঘোষণা করবেন বিচারক।
সন্ন্যাসিনী ধর্ষণ মামলায় ছ'জনকে দোষীসাব্যস্ত করল কলকাতা নগর দায়রা আদালত। মঙ্গলবার নগর দায়রা আদালতের বিচারক কুমকুম সিনহা ধর্ষণকাণ্ডে একজনকে দোষীসাব্যস্ত করেন। অপর পাঁচজন ডাকাতির ঘটনায় দোষীসাব্যস্ত করা হয়। বুধবার এই মামলায় রায় ঘোষণা করবেন বিচারক। উল্লেখ্য, সন্ন্যাসিনী ধর্ষণ ও ডাকাতিকাণ্ডে সাতজন অভিযুক্তের মধ্যে ছজনকে গ্রেফতার করা হয়।
২০১৫ সালের ১৩ মার্চ ঘটেছিল সেই নারকীয় ঘটনা। রানাঘাটের গাংনাপুরের ডনবসকো পাড়ায় কনভেন্ট স্কুলের পাঁচিল টপকে সাত দুষ্কৃতী ভিতরে ঢোকে। এরপর নিরাপত্তারক্ষীকে বেঁধে রেখে স্কুলে লুঠপাট চালায় তারা। এখানেই শেষ নয়। এরপরই ঘটে নারকীয় ঘটনা। দোতলায় উঠে ৭৪ বছরের এক সন্যাসিনীকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। শেষমেশ রান্নাঘরে ঢুকে খাওয়াদাওয়া করে তারা মূলগেট দিয়ে পালিয়ে যায়।
[আরও পড়ুন:সরকারকে বিড়ম্বনায় ফেলে রাজ্য ছাড়লেন রানাঘাটের ধর্ষিতা সন্ন্যাসিনী]
স্কুলের সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে দুষ্কৃতীদের সেই ছবি। এই ঘটনার তদন্তভার হাতে নেয় সিআইডি। ঘটনার ১৩ দিন পর ২৬ মার্চ গ্রেফতার করা হয় সেলিম শেখ নামে এক দুষ্কৃতীকে। এরপর একে একে গ্রেফতার করা হয় গোপাল সরকার, খালেদার রহমান, মিলন সরকার, ওহিদুল ইসলাম ও নজরুল শেখকে।
এই ঘটনায় তদন্তে নেমে তিনমাস পর ২০ জন রানাঘাট মহকুমা আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়। পরে এই মামলাটি স্থানান্তরিত হয় কলকাতার নগর দায়রা আদালতে। এই ঘটনায় তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল সেই সময়। তারপর এদিন রায়দানের দিনেই দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে গর্জে উঠেছেন এলাকাবাসীরা। এদিন বিচারক জানান, ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ছিল একজন। সেই কারণে ধর্ষণ মামলায় ওই একজনকে দোষীসাব্যস্ত করা হয়েছে। বাকিরা ডাকাতির ঘটনায় দোষীসাব্যস্ত।