বাড়িতে হানা দিয়ে শিশুপাচারকাণ্ডে চন্দনাদেবীর ভাইকে গ্রেফতার করল সিআইডি
শিশুর মা পড়ে থাকত জঙ্গলে। আর তাঁর কোলের শিশু পাচার হয়ে যেত বিদেশে। জলপাইগুড়ির ‘আশ্রয়’ হোমের আড়ালে এই কারবার বহুদিন ধরেই চালাচ্ছিলেন স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা চন্দনা চক্রবর্তী।
জলপাইগুড়ি, ২৪ ফেব্রুয়ারি : শিশুর মা পড়ে থাকত জঙ্গলে। আর তাঁর কোলের শিশু পাচার হয়ে যেত বিদেশে। জলপাইগুড়ির 'আশ্রয়' হোমের আড়ালে এই কারবার বহুদিন ধরেই চালাচ্ছিলেন স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা চন্দনা চক্রবর্তী। এই জাল যে অনেকদূর ছড়িয়ে রয়েছে, তা সিআইডি-র নজরে এসেছে। এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকাল থেরে রাত দফায় দফায় তল্লাশি চালিয়ে গ্রেফতার করা হল চন্দনাদেবীর ভাই মানস চক্রবর্তীকে।[শিশুপাচারে সিআইডি নজরে বিজেপি নেত্রী জুহি চৌধুরী, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলছেন দিলীপ]
সিআইডি-র অভিযোগ, চন্দনাদেবীর কাজে প্রত্যক্ষভাবে সাহায্য করতেন মানস। সেই কারণেই দীর্ঘ জেরার পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্তকারীরা মনে করছেন মানস চক্রবর্তীকে জেরা করে চন্দনাদেবীর কাজ-কারবার সম্বন্ধে আরও অনেক তথ্য মিলবে। এদিন জেলা প্রশাসন 'আশ্রয়' হোমটিকে সিল করে দিয়েছে। এই হোমে ছিল ২৫ জন। তাদের জলপাইগুড়ির নিজালয় হোমে স্থানান্তরিত করে জেলা প্রশাসন।[চন্দনাদেবীকে নিয়ে পৃথক সংস্থা খুলে দত্তক ব্যবসা শুরু করতে চেয়েছিলেন বিজেপি নেত্রী!]
নর্থবেঙ্গল পিপলস ফোরামের অফিসে হানা দিয়ে সিআইডি আধিকারিকরা তল্লাশি চালায়। এই অফিসের উপরতলায় থাকেন চন্দনাদেবীর বাবা। তাঁর বাড়িতে গেয় বাড়ির প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদ করে। দীর্ঘ তল্লাশিতে চন্দনাদেবীর ভাই মানসবাবুকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে নানা প্রশ্ন করা হয়। অসঙ্গতিপূর্ণ উত্তর পেয়ে শেষপর্যন্ত তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।[টার্গেট কুমারী মায়েরা, সন্তান ভূমিষ্ঠের আগেই বিক্রি হয়ে যেত চন্দনা চক্রবর্তীর 'আশ্রয়' থেকে!]
এদিকে জলপাইগুড়ি জেলা শিশুকল্যাণ সমিতির পক্ষ থকে বেশ কিচু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে সিআইডি-র হাতে। ইতিমধ্যে অভিযোগ, কুমারী মা ও স্টেশনের ভবঘুরে শিশুদের নিয়েও দত্তক ব্যবসা চালাতেন চন্দনা চক্রবর্তী- সোনালি মণ্ডলরা। জলপাইগুড়ির শিশু পাচারকাণ্ডে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে সিআইডি তদন্তে। এর জাল কাটতে তৎপর তদন্তকারীরা।[স্টেশনের ভবঘুরে শিশুদের হোমে নিয়ে এসে সুযোগ বুঝে বিক্রি করে দেওয়া হত!]