‘বামেদের অসম্পূর্ণ কাজ করছেন মুখ্যমন্ত্রী’, মমতা-বন্দনায় মুখর ক্ষিতি গোস্বামী
‘বামেদের অসম্পূর্ণ কাজ করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সরকার গ্রাম ও শহরের মধ্যে সমন্বয় বজায় রেখে উন্নয়নের কাজ করে চলেছে।’
শিলিগুড়ি, ৩১ জানুয়ারি : এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন খোদ বামনেতা। হঠাৎ উন্নয়ন প্রশ্নে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বন্দনা করে বসলেন আরএসপি রাজ্য সম্পাদক ক্ষিতি গোস্বামী। শিলিগুড়ির এক অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর ঢালাও প্রশংসা করে তিনি জানিয়ে দেন, 'বামেদের অসম্পূর্ণ কাজ করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সরকার গ্রাম ও শহরের মধ্যে সমন্বয় বজায় রেখে উন্নয়নের কাজ করে চলেছে।'[শিলিগুড়ি থেকে প্রচুর বিস্ফোরক উদ্ধার, ঘটনায় জঙ্গি যোগ? তদন্তে সিআইডি]
শুধু মমতার প্রশংসাই নয়, বামেদের সমালোচনাও শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে। তিনি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানিয়েছেন, বামেদের সব কাজ ঠিক হয়নি। অনেক অন্যায় ছিল। ভালো যে ছিল না, তা বলব না, কিন্তু ভালোর পাশাপাশি অনেক কালোও ছিল। তেমনই এই সরকার অনেক ভালো কাজ করছে। খারাপ কাজও করছে, কিন্তু তুলনায় তা অল্প। ক্ষিতি গোস্বামীর মুখে এই মমতা-বন্দনায় রাজনৈতিক মহলে জল্পনাও তুঙ্গে। তবে কি ক্ষিতি গোস্বামী এবার অন্য কূলে ভিড়তে চলেছেন?[ডেঙ্গুর প্রকোপে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে শিলিগুড়িতে]
সেই সম্ভাবনা অবশ্য একেবারেই উড়িয়ে দিয়েছেন আরএসপি রাজ্য সম্পাদক। তাঁর সাফ কথা, এর মধ্যে কোনও লুকনো-ছাপানো ব্যাপার নেই। সোজা কথা সোজা ভাবে বলছি। এতে কারও খারাপ লাগতে পারে, কিন্তু এটাই সত্যি। বাম আমলে দীর্ঘদিন পরূর্ত দফতরের মন্ত্রী ছিলেন ক্ষিতিবাবু। সেই ক্ষিতিবাবুর মুখেই এদিন শোনা গেল, তৃণমূলের আমলে গ্রামবাংলার রাস্তাঘাটের প্রভূত উন্নয়ন হয়েছে। বাম আমলকে এ ব্যাপারে টেক্কা দিয়েছে মমতার সরকার।
তবে মমতার সরকারের সমালোচনা করতেও ছাড়েননি ক্ষিতি গোস্বামী। তিনি বলেন, রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠে পড়েছে। মমতার সঙ্গদোষ এ জন্য গভীরভাবে দায়ী। সেই সঙ্গদোষের ফেলই মমতার সরকারকে এই বদনাম কুড়োতে হচ্ছে। মমতার সঙ্গে যাঁরা আছেন, তাঁরাই বেশি গন্ডগোল পাকাচ্ছেন।
আর বামেদের সমালোচনায় এদিন তিনি বলেন, আগে বামনেতারা উঁচু গলায় কথা বলত, তখন ক্ষমতায় ছিলাম আমরা। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর আমরা মিউমিউ করছি। আমাদের প্রতিবাদী কণ্ঠ হারিয়ে গিয়েছে। এটাই মস্ত বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতি বদলাতে হবে। না হলে ভবিষ্যৎ খুব খারাপ। ইতিমধ্যেই অনেক ইস্যু আমরা হাতছাড়া করেছি। আর সুযোগ হাতছাড়া করলে চলবে না।