ভোটের আগেই কি মুক্তি ছত্রধর মাহাতোর! জঙ্গলমহলে নয়া রাজনৈতিক অঙ্ক নিয়ে জল্পনা
লালগড় আন্দোলনের নেতা যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ছত্রধর মাহাতোকে মুক্তি দেওয়া হতে পারে। ন-বছরের জেল খাটার পর তিনি ছাড়া পেতে পারেন বলে এমন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। Mobile summary :
লালগড় আন্দোলনের নেতা যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ছত্রধর মাহাতোকে মুক্তি দেওয়া হতে পারে। ন-বছরের জেল খাটার পর তিনি ছাড়া পেতে পারেন বলে এমন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন মহল থেকে চাপ আসায় সেনা তৎপরতায় তাঁর মুক্তির জন্য আইনি জটিলতা কাটানোর চেষ্টা চলছে। উল্লেখ্য ইউএপিএ ধারায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে তিনি বন্দি রয়েছে প্রেসিডেন্সি জেলে।
২০০৯ সাল থেকে জেলবন্দি ছত্রধর মাহাতো। লালগড় আন্দোলনের সময় তাঁকে বহুবার দেখা গিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। তারপর ২০১১ সালে রাজ্যে পরিবর্তন আসে। কিন্তু ছত্রধরের জেল থেকে মুক্তিলাভ হয়নি। তারপর কেটে গিয়েছে সাত বছর। একাধিক মহল থেকে মুখ্যমন্ত্রী কাছে আবেদন আসছিল।
এখন সেই আবেদন মেনেই ছত্রধরের মুক্তির চেষ্টা চলছে। সম্প্রতি ছত্রধরের স্ত্রী ও ছেলেও প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করে ছত্রধরের মুক্তির আবেদন জানান। বিজেপি মেতা মুকুল রায়ও সম্প্রতি জঙ্গলমহলে গিয়ে ছত্রধরের মুক্তির বিষয়ে সওয়াল করেন। তারপর এপিডিআর-এর পক্ষেও ছত্রধরের মুক্তির আর্জি জানানো হয়।
এপিডিআর-এর পক্ষ থেকে বলা হয়, রাজ্য সরকারের যদি এই পদক্ষেপ নেয়, তা সত্যিই ইতিবাচক পদক্ষেপ বলেই গণ্য হবে। সেইসঙ্গে রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে, ছত্রধরের মুক্তির পিছনে রয়েছে জঙ্গলমহলে বিজেপিকে মোকাবিলা করার এক বিশেষ অঙ্ক। সম্প্রতি মক্কা মসজিদ বিস্ফোরণ মামলায় বেকসুর খালাস পাওয়া অসীমানন্দকে সংগঠন বাড়ানোর কাজে লাগানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। তার পাল্টা দিতেই ছত্রঝরকে ব্যবহার করতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে আজীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন ছত্রধর মাহাতো। তাঁর পাঁচসঙ্গীকেও আজীবন কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়। তারপর থেকে ছজন জেলবন্দি। এতদিন পর কেন তাঁদের মুক্ত করার তৎপরতা শুরু হল, তা নিয়েই চর্চা চলছে। রাজনৈতিক মহলেও ছত্রধরকে নিয়ে নানা জল্পনা চলছে।