স্বাধীনতা দিবস উদযাপন নিয়ে কেন্দ্রের এই নির্দেশিকায় নারাজ রাজ্য, চরমে সংঘাত
স্বাধীনতা দিবস উদযাপন নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত আবারও চরমে। এবার স্কুলে কেন্দ্রের জারি করা সরকারি বিধি পালনে নারাজ রাজ্য সরকার।
স্বাধীনতা দিবস উদযাপন নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত আবারও চরমে। এবার স্কুলে কেন্দ্রের জারি করা সরকারি বিধি পালনে নারাজ রাজ্য সরকার। পরিবর্তে চিরাচরিত রীতিতেই বিশেষ দিনটি পালনের নির্দেশ দেওয়া হল স্কুল কর্তৃপক্ষকে।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের তরফে স্কুলে স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের জন্য নির্দিষ্ট অনুষ্ঠানবিধি নিয়ে নির্দেশিকা পাঠানো হয়। গত ৭ অগাস্ট এই নির্দেশিকা জারি হয় কেন্দ্রের তরফে। এই ঘটনার ক'দিন পরই শুক্রবার সর্বশিক্ষা মিশন স্কুল কর্তৃপক্ষের উদ্দেশে পাল্টা বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। যেখানে কেন্দ্রীয় নির্দেশে ওই বিশষ দিনটি উদযাপনের ক্ষেত্রে বিরোধিতা করা হয়েছে। কেন্দ্রের নির্দেশিকা মেনে উদযাপন করতে বারণ করা হয় রাজ্যের স্কুলগুলিকে।
রাজ্যের
শিক্ষামন্ত্রী
পার্থ
চট্টোপাধ্যায়
এই
প্রেক্ষিতে
জানান
যে,
দেশাত্মবোধ
কখনওই
জোর
করে
তৈরি
করা
যায়
না।
ভারতীয়
মাত্রই
এই
উপলব্ধি
রয়েছে।
জাতীয়
পতাকা
উত্তোলন
এবং
বিবিধ
অনুষ্ঠানের
মাধ্যমে
প্রতি
বছর
বাংলার
প্রতিটি
স্কুলে
স্বাধীনতা
দিবস
পালন
করা
হয়।
উল্লেখ্য,
কেন্দ্রীয়
মানব
সম্পদ
উন্নয়নমন্ত্রকের
বিজ্ঞপ্তি
অনুযায়ী
৯
থেকে
৩০
আগাস্ট
পর্যন্ত
স্বাধীনতা
সংগ্রামী
শহিদ
স্মারকের
কাছে
স্কুল
কর্তৃপক্ষকে
সঙ্কল্প
অনুষ্ঠান
করার
নির্দেশ
দেওয়া
হয়।
শুধু
স্বাধীনতা
আন্দোলন
নয়,
দেশরক্ষায়
নিয়োজিত
বীর
সেনানিদের
প্রতিও
শ্রদ্ধা
জ্ঞাপন
করে
এই
অনুষ্ঠান
পালনের
ডাক
দেওয়া
হয়
কেন্দ্রের
তরফে।
এ
বছর
ভারত
ছাড়ো
আন্দোলনের
৭৫
বছর
পূর্তি
উপলক্ষ্যে
কেন্দ্রীয়
সরকার
বিভিন্ন
অনুষ্ঠানের
উদ্যোগ
নিচ্ছে।
সেই
কারণে
দেশের
সমস্ত
শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানে
ছাত্র-ছাত্রীদের
জন্য
সঙ্কল্প
বাক্য
পাঠ
করানোর
নির্দেশ
দেওয়া
হয়েছিল।
পশ্চিমবঙ্গ
কেন্দ্রের
এই
নির্দেশিকা
পালন
না
করলেও
,
তা
দেশের
বাকি
২৯
টি
রাজ্য
পালন
করবে।
সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের তরফে দু'দফায় দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কী ভাবে স্বাধীনতা দিবস পালন করতে হবে , সেবিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়। প্রভাত ফেরি থেকে কুইজ প্রতিযোগিতা, অভিভাবক বৈঠক থেকে দেশাত্মবোধক গানের অনুষ্ঠান ইত্যাদি করার কথা বলা হয়েছিল নির্দেশিকায় । প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নামে তৈরি হওয়া একটি মোবাইল অ্যাপ থেকে কুইজের ব্যবস্থাও করেছে কেন্দ্র। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে রাজ্যের মূল স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানেও সঙ্কল্প নেওয়ার অনুরোধ জানায় দিল্লি। তবে সেসব পালনের বিষয়টিকে খারিজ করে দেয় নবান্ন।
এদিকে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার কেন্দ্রের নির্দেশিকার বিরোধিতা করার প্রেক্ষিতে , কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের তরফে এক আধিকারিক জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারকে স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কে অবহিত করতেই এই নির্দেশিকা। তার মাধ্যমে কোনও বিধি নিষেধ আরোপ করা দফতরের লক্ষ্য নয়। তবে গোটা বিতর্কের জেরে স্কুলগুলি কোন নির্দেশিকা পালন করবে, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।