বর্ধমান কাণ্ড: 'অযথা রাজ্যের বিষয়ে নাক গলাচ্ছে কেন্দ্র', তদন্তভার এনআইএ-র হাতে যেতেই অভিযোগ মমতার
যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর দোহাই দিয়ে রাজ্য সরকার প্রথম থেকে এই তদন্তের বিরোধিতা করে আসছিল। আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের এক্তিয়ারভুক্ত, এই দাবি করেছিল রাজ্য প্রশাসন। কিন্তু বিরোধী দলগুলি বলে আসছিল, এটা মামুলি আইনশৃঙ্খলার বিষয় নয়। এর সঙ্গে দেশের সুরক্ষা জড়িয়ে। শেষ পর্যন্ত কেন্দ্র এনআইএ-কে সবুজ সঙ্কেত দেওয়ায় ধোপে টিকল না রাজ্যের আপত্তি। আর তারউ বহিঃপ্রকাশ এদিন ফেসবুকে ঘটালেন মুখ্যমন্ত্রী। ফেসবুকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "আজকাল দেখছি, কেন্দ্রীয় সরকার কথায় কথায় এবং অপ্রয়োজনীয় ভাবে রাজ্যের বিষয়ে নাক গলাচ্ছে। এই ঘটনা অভূতপূর্ব, অগণতান্ত্রিক এবং নীতিহীন। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো, রীতিনীতি ভেঙে ফেলার এই উদাহরণ ভয়ঙ্কর ইঙ্গিত।" যদিও মমতা অসন্তোষের কারণে আটকে নেই এনআইএ-র কাজ। তদন্তভার নেওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে দ্রুততার সঙ্গে কাজ শুরু করে দিয়েছে এই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএ। এই তদন্তকারী দলের নেতৃত্বে থাকবেন আইজি এসকে সিং।
<div id="fb-root"></div> <script>(function(d, s, id) { var js, fjs = d.getElementsByTagName(s)[0]; if (d.getElementById(id)) return; js = d.createElement(s); js.id = id; js.src = "//connect.facebook.net/en_US/all.js#xfbml=1"; fjs.parentNode.insertBefore(js, fjs); }(document, 'script', 'facebook-jssdk'));</script> <div class="fb-post" data-href="https://www.facebook.com/MamataBanerjeeOfficial/posts/772682029465807" data-width="466"><div class="fb-xfbml-parse-ignore"><a href="https://www.facebook.com/MamataBanerjeeOfficial/posts/772682029465807">Post</a> by <a href="https://www.facebook.com/MamataBanerjeeOfficial">Mamata Banerjee</a>.</div></div>
ইতিমধ্যেই বর্ধমানের খাগড়াগড় বিস্ফোরণ কাণ্ডে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনের পাঁচটি ধারায় মামলা দায়ের করেছে এনআইএ। পাশাপাশি বিস্ফোরক আইনের মামলাও করা হয়েছে। এদিনই বর্ধমান কাণ্ডে ধৃতদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য নগর দায়রা আদালতে আর্জি জানিয়েছে এই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। আগামী ১৩ অক্টোবর এই আবেদনের শুনানি হবে। তবে আদালত জানিয়ে দিয়েছে তদন্তের স্বার্থে যে কোনও নথি বা প্রয়োজনীয় বস্তু বাজেয়াপ্ত করতে পারবে তদন্তকারী এনআইএ দল।
বর্ধমান কাণ্ডে প্রথম থেকেই কোনও বিবৃতি দেননি মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য সরকার চেয়েছিল রাজ্য পুলিশ ও সিআইডি মিলে তদন্ত করুক। তাই প্রথম থেকেই এনআইএকে তদন্তভার তুলে দেওয়ার বিষয়ে বিরোধিতা করছিল সরকার। এমনকী তদন্তের কাজে রাজ্য এনআইএ-কে কোনও সহযোগিতা করছে না বলেও অভিযোগ উঠেছিল। এরপর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বর্ধমান তদন্তে এনআইএ-কে সবুজ সংকেত দিলে তা ভাল চোখে নেয়নি রাজ্য সরকার তথা মুখ্যমন্ত্রী।
এদিকে এনআইকে সরকারি ভাবে তদন্তভার তুলে দেওয়ার পরেও সিআইডি ও পুলিশ অতি তৎপর হয়ে খাগড়াগড়ের বিষ্ফোরণ ঘটনাস্থল থেকে দুদফায় নমুনা সংগ্রহ করে। স্বভাবতই এই বিষয় নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ঘটনার ৮ দিন কেটে গেলেও গায়ে হাওয়া লাগিয়ে তদন্তের কাজ করছিল সিআইডি ও রাজ্যপুলিশ। কিন্তু তদন্তভার এনআইএ-র কাছে চলে যাওয়ার পরে কেন হঠাৎ এতটা তৎপর হয়ে উঠল তারা? তা নিয়েই এবার প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা।