পশ্চিমবঙ্গের নতুন রাজ্যপাল হলেন কেশরীনাথ ত্রিপাঠী
১৯৩৪ সালের ১০ নভেম্বর উত্তরপ্রদেশের এলাহাবাদে জন্ম কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর। আইনে স্নাতক হওয়ার পর এলাহাবাদ হাই কোর্টে তিনি কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। ক্রমশ জড়িয়ে পড়েন রাজনীতিতে। ১৯৭৭ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত তিনি কেন্দ্রে ক্যাবিনেট মন্ত্রী ছিলেন। ১৯৭৭-১৯৮০, ১৯৮৯-১৯৯১, ১৯৯১-১৯৯২, ১৯৯৩-১৯৯৫, ১৯৯৬-২০০২ এবং ২০০২-২০০৭ সময়সীমায় তিনি উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার সদস্য ছিলেন। বিধানসভার স্পিকার হিসাবে দায়িত্ব সামলেছেন বেশ কয়েকবার। ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) বরিষ্ঠ নেতা হিসাবে সারা দেশে তাঁর পরিচিতি রয়েছে। উত্তরপ্রদেশ রাজ্য বিজেপি-র সভাপতিও ছিলেন তিনি।
রাজনীতির পাশাপাশি তিনি কবিতাও লেখেন। বই আকারে কিছু কবিতা প্রকাশিতও হয়েছে।
কেন্দ্রে ক্ষমতা বদল হওয়ার পরই অন্যান্য রাজ্যের মতো বাংলার রাজ্যপাল এম কে নারায়ণনকে সরে যেতে বলে পরোক্ষে বার্তা দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি সরতে রাজি হননি। গত মাসের মাঝামাঝি হেলিকপ্টার কেলেঙ্কারিতে তাঁকে দীর্ঘক্ষণ জেরা করে সিবিআই। এই 'অপমান' সইতে না পেরে সরে যেতেই মনস্থির করেন তিনি। যদিও কেন্দ্রীয় সরকার বলেছিল, সিবিআই আইন মোতাবেক কাজ করেছে। কোনওভাবে তাদের ওপর চাপ তৈরি করা হয়নি। ৩০ জুন এম কে নারায়ণন তাঁর পদত্যাগপত্র দিল্লিতে পাঠিয়ে দেন। এর পরই জল্পনা চলছিল নতুন রাজ্যপাল কে হবেন, তা নিয়ে। শেষ পর্যন্ত সেই জল্পনায় দাঁড়ি পড়ল।
কেশরীনাথ ত্রিপাঠী সঙ্ঘ পরিবারের কট্টর সমর্থক হিসাবে পরিচিত। বিভিন্ন ইস্যুতে তিনি কঠোর অবস্থান নেবেন বলে মনে করা হচ্ছে। তাই তাঁকে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল করে পাঠানো হল।
এ দিন আরও চারটি রাজ্যে রাজ্যপাল মনোনীত করল কেন্দ্রীয় সরকার। উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল হলেন রাম নায়েক, ছত্তিশগড়ের রাজ্যপাল হয়েছেন বলরামদাস ট্যান্ডন এবং ওমপ্রকাশ কোহলিকে গুজরাতের রাজ্যপাল করা হয়েছে। নাগাল্যান্ডের রাজ্যপাল হলেন পদ্মনাভ বালকৃষ্ণ আচার্য।