তোমার ছোট ছেলেকে মেরে ফেললাম, ধড়পড়িয়ে উঠেই ভয়ানক দৃশ্য দেখে আঁতকে ওঠেন মা
তখনও অন্ধকার কাটেনি, হঠাৎ দরজায় ধাক্কা। ধড়পড়িয়ে ঘুম থেকে উঠে পড়েছিলেন মা। দরজা খুলতেই বড় ছেলে জানাল, মা তোমার ছোট ছেলেকে মেরে ফেললাম।
তখনও অন্ধকার কাটেনি, হঠাৎ দরজায় ধাক্কা। ধড়পড়িয়ে ঘুম থেকে উঠে পড়েছিলেন মা। দরজা খুলতেই বড় ছেলে জানাল, মা তোমার ছোট ছেলেকে মেরে ফেললাম। তারপর আর মুহূর্ত বিলম্ব করেনি সে। এক ছুটে ঘর থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল। তড়িঘড়ি ছোট ছেলের ঘরে ঢুকে মা দেখেন- উপুড় হয়ে পড়ে রয়েছে তারণ, রক্তে ভেসে যাচ্ছে মেঝে।
সে দৃশ্য দেখেই আর্তনাদ করে উঠেছিলেন মা। সেই আওয়াজেই ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। তড়িঘড়ি তারণকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বুধবার ভোররাতে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ কালীতলায়। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
বনগাঁর কালীতলার বাসিন্দা ইতু বাগচির দুই ছেলে। ছোট ছেলে তারণ বনগাঁ দীনবন্ধু কলেজের ছাত্র। তার ইচ্ছা ছিল সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার, তাই অনেক রাত পর্যন্ত পড়াশোনা করে সে। আর বড় ছেলে বেঞ্জামিন বেশ কিছুদিন হল পড়াশোনায় ইতি টেনেছে। ইতুদেবীর স্বামী কর্মসূত্রে ভিনরাজ্যে থাকেন। বেঞ্জামিন সেখানেই কাজ করত।
সম্প্রতি হেরোইনের নেশায় আসক্ত হয়ে সে বাড়ি ফিরে আসে। নেশামুক্তি কেন্দ্রে চিকিৎসা চলছিল তার। প্রায়ই নেশার টাকার জন্য মারধর করত। ড্রাগের নেশায় মাথায় রক্ত উঠে যেত। এর আগে মায়ের পেটেও একবার ছুরি চালিয়ে দিয়েছিল। সে যাত্রায় প্রাণে রক্ষা পান ইতুদেবী। এবার ভাইকে খুন করে বসল সে।
[আরও পড়ুন:তোমার ছোট ছেলেকে মেরে ফেললাম, ধড়পড়িয়ে উঠেই ভয়ানক দৃশ্য দেখে আর্তনাদ মায়ের]
ইতুদেবী জানান, আগে থেকে কোনও ঝামেলা-ঝঞ্ঝাট ছিল না। নেশার ঘোর চাপতেই এইরকম ঘৃণ্য ও নৃশংস কাজ করেছে সে। ছোট ছেলেকে হারিয়ে এখন বড় ছেলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাইছেন তিনি। ওই ঘর থেকেই কাঠের টুকরো উদ্ধার হয়েছে। ওই কাঠ দিয়েই মাথায় মেরে তারণকে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান।
[আরও পড়ুন:দাড়িভিট নিয়ে শাসক দলে 'বিভেদ'! ২০১৯-এর ভোটের আগে অস্বস্তিতে মমতার দল]
ছোট ছেলের নিথর দেহের দিকে জলে ঝাপসা হয়ে থাকা দৃষ্টিতে চেয়ে মা হয়েও এখন ইতুদেবী শাস্তি দাবি করছেন বড় ছেলের। আর বলছেন, গত রাতে দুভাইয়ে মিলে একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করল। তারপরই খুনোখুনি ঘটে গেল! তিনি জানতেও পারলেন না। সব হারিয়ে এখন নিজেকেই দুষছেন তিনি।
[আরও পড়ুন:২০১৯-এর ভোটের আগে সরকারি কর্মীদের জন্য দুঃসংবাদ! এমনই সিদ্ধান্ত নিল মমতার সরকার]