স্বামীর ঘরে পা দিয়ে স্ত্রী জানলেন আগের তিন বউ রয়েছে! সুখের স্বর্গে নেমে এল অন্ধকার
সেই স্কুলজীবন থেকে প্রেম তাঁদের। তারপর সেই প্রেমের পূর্ণতা দিতে বাড়ির অমতে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু তারপরই সুখের স্বর্গে নেমে এল ঘোর অমানিশা।
সেই স্কুলজীবন থেকে প্রেম তাঁদের। তারপর সেই প্রেমের পূর্ণতা দিতে বাড়ির অমতে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু তারপরই সুখের স্বর্গে নেমে এল ঘোর অমানিশা। স্বামীর ঘরে গিয়ে স্ত্রী জানতে পারলেন, তাঁর স্বামী আগে তিনটি বিয়ে করেছেন। তিনি চতুর্থ স্ত্রী। প্রতিবাদ করেছিলেন স্বামীর এই বিয়ে বিয়ে খেলার।
তারপরই চরম লাঞ্ছনার শিকার হতে হল এতদিনের প্রেমিকা বর্তমানে বিয়ে করা স্ত্রীকে। একসময়ের সহপাঠী, আবার দীর্ঘদিনের প্রেমিক তাঁকে যে এভাবে ঠকাবে বুঝে উঠতে পারেনি মালদহের ছাতিয়ান মোড়ের রিঙ্কি সিংহ। প্রতিবাদ করার পর স্ত্রীকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে স্বামীর বিরুদ্ধে।
শেষমেশ স্বামীর বিরুদ্ধে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন রিঙ্কি। জানিয়েছেন তাঁর প্রতি অত্যাচারের নির্মম কাহিনি। পুলিশের কাছে তিনি অভিযোগ করেন, স্কুলে পড়ার সময় থেকেই প্রসেনজিৎ কর্মকারের সঙ্গে তাঁর পরিচয়। তাঁরা সহপাঠী ছিলেন। স্কুলের গণ্ডি পেরনোর পর গ্যারেজের কাজ নেন প্রসেনজিৎ। এরপর বাড়ি মেনে না নেওয়ায় তাঁরা পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন।
মালদহ কোর্ট এলাকায় তাঁরা বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন। রিঙ্কি খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, ফরাক্কা, আদিনা-সহ তিন জায়গায় তিনটি বিয়ে করেছেন প্রসেনজিৎ। এরপর প্রসেনজিতের বাড়িতে জবাব চাইতে যান রিঙ্কি, তখনই কপালে জোটে চরম লাঞ্ছনা। প্রসেনজিৎ তাঁর মাথা ফাটিয়ে দেন। পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।