নালাসোপারা অস্ত্র উদ্ধার মামলায় বাংলা থেকে গ্রেফতার এক
নালাসোপারা অস্ত্র উদ্ধার মামলায় বাংলা থেকে গ্রেফতার এক
২০১৮
সালে
নালাসোপারা
অস্ত্র
উদ্ধার
মামলায়
জড়িত
এক
ব্যক্তিকে
পশ্চিমবঙ্গ
থেকে
গ্রেফতার
করল
মহারাষ্ট্রের
জঙ্গি–দমন
শাখা
(এটিএস)।
ওই
ব্যক্তি
ডানপন্থী
সংগঠনের
সদস্যদের
বিস্ফোরক
তৈরি
করার
প্রশিক্ষণ
দিত।
যুধিষ্ঠির সহ ১২ জন এটিএসের জালে
সোমবার এটিএস দক্ষিণ ২৪ পরগণার উস্থি থেকে যুধিষ্ঠির হাজরা ওরফে প্রতাপ হাজরাকে (৩৪) গ্রেফতার করে। এ কাজে সহায়তা করেছে কলকাতা পুলিসের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। ২০১৮ সালের ১০ আগস্ট নালাসোপালা মামলা দায়ের হওয়ার পর থেকেই সে পালিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। তাকে আদালতে পেশ করা হলে আদালত অভিযুক্তকে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত এটিএস হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। বৃহস্পতিবার আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ২০১৭ সালে পুনের সানবার্ন মিউজিক উৎসবে হামলার ষড়যন্ত্রেও যুক্ত ছিল সে। ২০১৮ সালের আগস্টে অস্ত্র উদ্ধারের পর এটিএস গ্রেফতার করে নালাসোপারা থেকে বৈভব রাউত, পুনে থেকে সুধানভা গোন্ধেলেকর ও ঔরঙ্গাবাদ থেকে শরদ কালাসকরকে। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশিঅভিযান চালিয়ে ১২ জনের বেশি জনকে গ্রেফতার করা হয়, যারা সনাতন সংস্থা এবং হিন্দু জনজাগৃতি সংস্থার মতো বেশ কিছু হিন্দুত্ববাদী জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিল। এই ১২ জনকে দেশীয় পদ্ধতিতে বোমা বানানো শেখাত হাজরাই।
উদ্ধার অস্ত্র–বিস্ফোরক
অপরিশোধিত বিস্ফোরক, বিস্ফোরক বানানোর জিনিস, দেশীয় পিস্তল এবং চপারের মতো অস্ত্র উদ্ধার হয় বৈভব রাউতের বাড়ি ও গুদাম থেকে। তদন্তে উঠে এসেছে যে এই দলটির জড়িত রয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় অন্তর্ঘাত ও বেশ কিছু বুদ্ধিজীবিদের হত্যা করার পেছনে। ২০১৭ সালে পুনের সানবার্ন উৎসবেও বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল এই দলটি। এটিএস তিনজনকে গ্রেফতারের পরই জানতে পারে যে হাজরাও এই ষড়যন্ত্রের অংশ। তারপর থেকেই এটিএস তার খোঁজ চালাচ্ছিল।
নরেন্দ্র দাবলোকর থেকে গৌরী লঙ্কেশ হত্যায় জড়িত
নালাসোপারায় তল্লাশির সময় থেকেই হাজরা গায়েব হয়ে যায়। যদিও পুলিশ তার সন্ধান করে যাচ্ছিল পশ্চিমবঙ্গেও। অবশেষে সোমবার এটিএসের হাতে ধরা পড়ে সে। এটিএস জানিয়েছে, ২০১৩ সালে পুনেতে নরেন্দ্র দাবলোকরের হত্যাকারীদের মধ্যে শরদ কালাসকর একজন। অন্যদিকে অন্য দুই অভিযুক্ত গণেশ মিশকিন ও অমিত বদ্দি সাংবাদিক গৌরী লঙ্কেশ, গোবিন্দ পানসারে ও এমএম কালবুর্গির হত্যার সঙ্গে জড়িত। এটিএস এই ১২ জনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধারায় মামলা দিয়ে চার্জশিট গঠন করেছে। চার্জশিটে বলা হয়েছে, এই গোষ্ঠীটি একটি সন্ত্রাসী সেল গঠনের ষড়যন্ত্র করেছিল যা হিন্দু ধর্ম ও সংস্কৃতি ক্ষতিগ্রস্থকারীদের বিরুদ্ধে কাজ করেছিল। তারা হিন্দু ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বলার, লেখার এবং সম্পাদনকারী ব্যক্তিদের লক্ষ্য করার পরিকল্পনা করেছিল।
শাহীনবাগে যাবেন, জানালেন বাবা রামদেব নিজে!