ভোটের আগে বিস্ফোরণে কাঁপল বর্ধমান, মৃত এক শিশু: বিস্তারিত রিপোর্ট চাইল কমিশন
ভোটের আগে চড়ছে উত্তেজনার পারদ। বিস্ফোরণে কাঁপল বর্ধমান। বল ভেবে বোমা নিয়ে খেলতে গিয়ে বিস্ফোরণে মৃত্যু হল এক শিশুর। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমান শহরের রসিকপুরে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় এখনও হাসপাতালে ভর্তি আরেকজন।
ভোট যত এগিয়ে আসছে তত চড়ছে উত্তেজনার পারদ। গত কয়েকদিনে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে নন্দীগ্রামে। তৃণমূল এবং বিজেপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এবার প্রথম দফার ভোটের আর চার দিনও বাকি নেই তখন বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল বাংলা। সোমবার সকালে বিস্ফোরণে কাঁপল বর্ধমান। ঘটনায় মৃত এক শিশু। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু রাজনৈতিক চাপানোতর।
বল ভেবে বোমা নিয়ে খেলতে গিয়ে বিস্ফোরণ
জানা যাচ্ছে, সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমান শহরের রসিকপুরে। সেখানে একটি বল পড়ে থাকতে দেখে বাচ্ছারা। আর সেটিকে বল ভেবে বোমা নিয়ে খেলতে গিয়ে বিস্ফোরণ হয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হল এক শিশুর। আশঙ্কাজনক অবস্থায় এখনও হাসপাতালে ভর্তি আরেকজন। ভোটের মুখে এই ঘটনায় নতুন করে উত্তজনা ছড়িয়েছে বর্ধমানে।
ঠিক কীভাবে ঘটল এই ঘটনা?
স্থানীয় মানুষজন জানিয়ছেন, সোমবার সকালে বর্ধমান শহরের রসিকপুর এলাকায় পাঁচ বছরের আফরোজ এবং শেখ আব্রাহাম খেলছিল। হঠাতই বলের মতো গোলাকার একটি বস্তু পড়ে থাকতে দেখে তাঁরা। সেটাকে বল ভেবে খেলতে যায় বাচ্ছারা। বল ভেবে সেগুলিকে তুলতেই প্রবল বিস্ফোরণ ঘটে। গুরুতর জখম অবস্থায় আফরোজ এবং আব্রাহামকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই কিছুক্ষণ পর মৃত্যু হয় আফরোজের। স্থানীয় মানুষজন জানাচ্ছেন, বোমার তীব্রতা এতটাই ছিল যে, কালো ধোঁয়াতে ভরে যায় গোটা এলাকা।
বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ মমতার
ঘটনার খবর পেয়েই উদ্বেগ প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাঁকুড়ার সভা থেকেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি ঘটনার খোঁজ পেয়েছি। পাওয়ার পরেই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে পরিবারের পাশে থাকার জন্যে প্রশাসনকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
শুরু রাজনৈতিক চাপানোতর!
ঘটনার পরেই শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক চাপানোতর। ঘটনার পরেই নির্বাচন কমিশনে যান রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘটনার কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন রাখেন তিনি। পরে সাংবাদিকদের রাজীব বলেন, খেলা হবে স্লোগানের মধ্যে শাসকদল সন্ত্রাসকে উস্কানি দিচ্ছে। দুস্কৃতিদের সাজানো হচ্ছে। এই পরিস্থিতি নিয়ে কটাক্ষ করেন টালিগঞ্জের বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়ও৷ বলেন, তৃণমূলের আমলে বোমা শিল্প ই তো হয়েছে বাংলায়। অন্যদিকে, বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের মতে, এর দায় নিতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে৷ নির্বাচনের আগে এই ঘটনায় তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা। যদিও তৃণমূলের দাবি, মৃত্যুর ঘটনা দুঃখজনক। তবে সমাজবিরোধীরা এই বোমা রাখতে পারে। তবে তদন্ত চলছে। সঠিক তথ্য সামনে আসবে বলে দাবি তৃণমূলের।
ঘটনায় রিপোর্ট তলব করেছে নির্বাচন কমিশন
ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট চাইল নির্বাচন কমিশন। আর সেই রিপোর্ট দিল্লিতে পাঠানো হবে। এরপরেই ব্যবস্থা বলে জানা যাচ্ছে।