দল ভাঙানোর খেলায় আর মন নেই, নিজের শক্তির উপরই ভরসা রেখে এগোতে চায় বিজেপি
বিজেপি এবার নিজের শক্তির উপরই আস্থা রাখতে চায়। আর দল ভাঙিয়ে চমকের রাজনীতিতে বিশ্বাস নেই বিজেপির। ২০২১-এ বাংলার বিধানসভা ভোট থেকে শিক্ষা নিয়েই বিজেপি ২০২৪-এর লক্ষ্য স্থির করতে চাইছে।
বিজেপি এবার নিজের শক্তির উপরই আস্থা রাখতে চায়। আর দল ভাঙিয়ে চমকের রাজনীতিতে বিশ্বাস নেই বিজেপির। ২০২১-এ বাংলার বিধানসভা ভোট থেকে শিক্ষা নিয়েই বিজেপি ২০২৪-এর লক্ষ্য স্থির করতে চাইছে। বিজেপি চাইছে, দলের স্বচ্ছ ভাবমূর্তির নেতাদের সামনে রেখে এগোতে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে আর তৃণমূল ভাঙানোর খেলায় রাজি নয় তারা।
২০২৪ লোকসভা ভোটকে সামনে রেখে প্রস্তুতি বিজেপির
২০২৪ লোকসভা ভোটকে সামনে রেখে এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দিতে চাইছে বঙ্গ বিজেপি ব্রিগেড। এর আগে ২০১৯ লোকসভায় তৃণমূল ভাঙালেও নিজের শক্তির উপর আস্থা রেখেছিল বিজেপি। তার সুফলও পেয়েছিল। কিন্তু ২০২১-এর বিধানসভায় বিজেপি নিজের শক্তির উপর আস্থা না রেখে ভাঙিয়ে আনা শক্তিতেই বিশ্বাস রেখেছিল বিজেপি। কিন্তু ফল ভালো হয়নি।
হার থেকে শিক্ষা, চূড়ান্ত লড়াই হবে ২০২৪-এ
এবার সেই হার থেকে শিক্ষা নিতে চাইছে বিজেপি। তারা চাইছে নিজের যেটুকু শক্তি তার উপর আস্থা রেখে দলের স্বচ্ছ ভাবমূর্তির ফায়দা তুলে ধরতে। তাদের বিশ্বাস, নিজের শক্তিতে লড়াই করলেই তাঁরা আশানুরূপ সাফল্য পাবে। আসন্ন উপনির্বাচন ও পুরভোটে তার মহড়া দিতে চাইছে বিজেপি। আর চূড়ান্ত লড়াই হবে ২০২৪-এ।
দলবদলু নেতাদের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী করছিল বহু দলবদলুকে। তৃণমূল, সিপিএম বা কংগ্রেস ছেড়ে আসা নেতাদের প্রাধান্য দিয়ে তাঁদের প্রার্থী করেছিল। কিন্তু বেশিরভাগ দলবদলুই হেরে গিয়েছে এবার বিজেপির টিকিটে। ফলে দলবদলু নেতাদের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে পড়েছে। বিজেপির অন্দরেই আদি নেতা-কর্মীরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে নতুনদের নিয়ে।
মমতা এক পায়েই হারিয়ে দিয়েছেন মোদী-শাহদের
গেরুয়া-শিবিরের অন্দরে আদি নব্য দ্বন্দ্ব বেড়েছে দলবদলু নেতাদের আগমনেই। যার প্রভাব পড়েছে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে। মোদী-শাহসহ ফুল টিম দিল্লি থেকে ছুটে এলেও কোনও লাভ হয়নি। একা মমতার কাছে ধরাশায়ী হয়েছেন মোদী-শাহরা। মমতা এক পায়েই হারিয়ে দিয়েছেন মোদী-শাহদের। এবার তিনি দু-পায়ে দিল্লি দখলের টার্গেট নিয়েছেন।
তৃণমূলকে আটকাতে এখন থেকেই কোমর বেঁধেছে বিজেপি
তাই তৃণমূলকে আটকাতে এখন থেকেই কোমর বেঁধেছে বিজেপি। তাঁরা নিজের শক্তিতে এবার তৃণমূলকে হারাতে চায়। সেইমতোই পরিকল্পনা রচনা করছে তারা। অন্য দল থেকে যাঁরা বিজেপিতে এসেছিলেন, তাঁদরে অনেকেই এখনও বিজেপিতে রয়েছে, আবার অনেকে ফিরে গিয়েছেন। অনেক নিজেদের আড়ালে সরিয়ে নিয়েছেন।
এখনই কোনও বড় পদে নয় দলবদলুদের
বিজেপি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, অন্য দল থেকে আসা নেতাদের এখনই কোনও বড় পদে বসানো হচ্ছে না। তাঁরা দলের হয়ে কেমন রাজ করে দেখেই তাঁদের ভিন্ন পদ দেওয়া হবে। পুজোর আগেই একাধিক জেলায় সংগঠনের রদবদলের সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে দলবদলু কোনও নেতার যদি সত্যিই স্বচ্ছ ভাবমূর্তি থাকে, তবে তাঁকে সুযোগ দেওয়া হতে পারে। অন্যথায় নয়।