রাজনীতির লড়াই গৃহকোণে! জয়-অনন্যার সংসারে বিজেপি-তৃণমূল দ্বন্দ্বের আঁচ
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া তৃণমূল কংগ্রেসের সবাই ‘ল্যাম্পপোস্ট’ বলে বর্ণনা করলেন বিজেপি নেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়।
'বিভীষণে'র বদলা 'ল্যাম্পপোস্ট'। নাম না করেই বিজেপির জয় বন্দ্যোপাধ্যায় এবার নিশানা করলেন স্ত্রী অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া তৃণমূল কংগ্রেসের সবাই 'ল্যাম্পপোস্ট' বলে বর্ণনা করলেন বিজেপি নেতা জয়। তিনি বলেন, 'তৃণমূলে আমার লক্ষ্য একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমি মনে করি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া ওই দলে কারও নেতা হওয়ার যোগ্যতা নেই। সকলকেই আমি 'ল্যাম্পপোস্ট' মনে করি। আর অন্য কারও সম্পর্কে আমার কিছু বলার মতো প্রবৃত্তিও নেই।'
[আরও পড়ুন:রাহুলের সাফল্যে ঈর্ষাকাতর মমতা! তাই কি মোদী বিরোধিতায় গা-ছাড়াভাব তৃণমূলের]
তাঁর
কথাতেই
পরিষ্কার
এদিন
জয়ের
নিশানা
ছিলেন
তাঁর
স্ত্রী
অনন্যা
বন্দ্যোপাধ্যায়।
এর
ফলে
দুই
প্রতিপক্ষ
দলের
রাজনৈতিক
বাদানুবাদ
এবার
পৌঁছে
গেল
গৃহকোণেও।
জয়
আর
অনন্যা
এতদিন
ভিন্ন
দল
করলেও
কোনও
রাজনৈতিক
তিক্ততা
ছিল
না
তাঁদের
দাম্পত্য
সম্পর্কে।
এবার
রাজনীতির
কাদা
ছিটিয়ে
পড়ল
তাঁদের
ব্যক্তিগত
জীবনেও।
তাই
দূরত্বও
বাড়ছে
উভয়ের।
কয়েকদিন
আগে
বর্ধমানের
রায়নায়
একটি
দলীয়
সভা
থেকে
স্বামী
জয়
বন্দ্যোপাধ্যায়কে
'ঘরশত্রু
বিভীষণ'
বলে
নিশানা
করেছিলেন
তৃণমূল
কংগ্রেস
নেত্রী
তথা
কাউন্সিলর
অনন্যা
বন্দ্যোপাধ্যায়।
এবার
তৃণমূলের
দেওয়া
মাস্টারস্ট্রোকের
পাল্টা
চ্যালেঞ্জ
ছুড়লেন
জয়।
বললেন,
'মমতা
ছাড়া
তৃণমলের
বাকি
নেতা-নেত্রীরা
'ল্যাম্পপোস্ট'।
তৃণমূল কংগ্রেসের সভায় অনন্যা বলেছিলেন, 'আমরা একটা সময় একসঙ্গে তৃণমূল করতাম। জয় এখন হতাশা থেকে বিজেপি করছে। শুধু জয়ই নয়, অধিকাংশই বিজেপিতে যাচ্ছে হতাশা থেকে। এখন জয়ই 'ঘরশত্রু বিভীষণ' হয়ে দাঁড়িয়েছে।' এদিন নদিয়ার সভা থেকে জয় স্ত্রীর কথার উত্তর দিলেন ঘুরিয়ে। স্ত্রী অনন্যা-সহ অন্য নেতাদের একেবারে 'ল্যাম্পপোস্ট' বানিয়ে দিলেন তিনি।
তৃণমূল কংগ্রেস সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যেখানেই জয় সভা করবে, তার পাল্টা সভা অনন্যা দিয়ে করানোর। জয় সেই সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে বলেন, 'আমাকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে পারছে না বলেই তৃণমূল আমার পরিবারের লোকজনকে ধরে টানাটানি করছে। কোনও হতাশা নয়, বিজেপির হাত ধরে নতুন বাংলা গড়ার লক্ষ্যেই আমি এগিয়ে চলেছি।' তিনি বিজেপি ছেড়ে কোথাও যাবেন না বলেও মত প্রকাশ করেন জয়। এদিন তাঁর সভায় শতাধিক কর্মী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন।
[আরও পড়ুন:খুশির খবর রাজ্যবাসীর জন্য, বড়দিনের পরই নাচন লাগতে চলেছে শীতের হাওয়ায়]