বিজেপির ১১ দিনের মেগা কর্মসূচি নবান্ন অভিযানের আগে, শুভেন্দু-সুকান্তদের কী প্ল্যান
বিজেপির ১১ দিনের মেগা কর্মসূচি নবান্ন অভিযানের আগে, শুভেন্দু-সুকান্তদের কী প্ল্যান
বিজেপির নবান্ন অভিযান পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। ৭ সেপ্টেম্বর থেকে নবান্ন অভিযান পিছিয়ে গিয়েছে ১৩ সেপ্টেম্বরে। সেই ১৩ সেপ্টেম্বরের নবান্ন অভিযানকে সামনে রেখে জেলায় জেলায় বিশেষ প্রচারে নামছে বিজেপি। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, নবান্ন অভিযানকে সামনে রেখে জেলায় জেলায় ঘুরবেন শুভেন্দু-সুকান্তরা।
১ থেকে ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিশেষ প্রচার অভিযান
বিজেপি জানিয়েছে, নবান্ন অভিযান সফল করতে তারা ১ থেকে ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিশেষ প্রচার অভিযান চালাবে। উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গ ভাগ করে সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী-সহ প্রথম সারির নেতারা জেলায় জেলায় প্রচারাভিযানে অংশ নেবেন। তাঁরা সভা করবেন, বৈঠক করবেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।
এক একজন প্রথম সারির নেতা ৬টি করে জেলায়
বিজেপি এবার নবান্ন অভিযানের আগে বিশেষ নজর দিয়েছে জঙ্গলমহলে। কোন জেলায় কোন নেতা যাবেন, তাও চূড়ান্ত করে ফেলেছে বিজেপি। ঠিক হয়েছে এক একজন প্রথম সারির নেতা ৬টি করে জেলায় নবান্ন অভিযানকে সামনে রেখে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করবেন। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশে তাঁরা নবান্ন অভিযানকে তুঙ্গে তুলতে চাইছেন।
‘চোর ধরে জেল ভরো’-স্লোগানকে সামনে রেখে প্রচার
কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশ মোতাবেক, টানা ১১ দিন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে জেলায় জেলায়। প্রথম সারির নেতারা জেলায় জেলায় ঘুরবেন। প্রচার করবেন। 'চোর ধরে জেল ভরো'-স্লোগানকে সামনে রেখে বিজেপি নবান্ন অভিযানের প্রচার পর্ব মাতাতে তৈরি হচ্ছে। সোমবার রাজ্য কমিটির বৈঠকে সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে, বিজেপি কী পরিকল্পনা নিয়ে এগোবে।
জঙ্গলমহলকে গুরুত্ব দিয়ে পিছল বিজেপি নবান্ন অভিযান
বিজেপি নবান্ন অভিযান ৬দিন পিছিয়ে দিয়েছে। কেন হঠাৎ পিছিয়ে গেল নবান্ন অভিযান তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। বিজেপি নবান্ন অভিযান ডেকেছিল দিনক্ষণ না দেখে। ওইদিন জঙ্গলমহলে করম পরব অনুষ্ঠিত হবে। আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের বড় উৎসব। তাই আদিবাসী মানুষের আবেগে বিজেপি আঘাত দিতে চায়নি। তাই তাদের নবান্ন অভিযান পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
করম পরব কাটিয়ে বিজেপি নতুন দিন নির্ধারণ করেছে
পক্ষান্তরে বিজেপির নবান্ন অভিযান পিছিয়ে দেওয়ার যুক্তি ছিল, আদিবাসী মহল্লায় বিজেপির সংগঠন শক্তিশালী। সেই এলাকা থেকে যদি বৃহত্তর সংখ্যায় উপস্থিতি না ঘটে, বিজেপির নবান্ন অভিযান ব্যর্থ হয়ে যাবে। তাই করম পরব কাটিয়ে বিজেপি নতুন দিন নির্ধারণ করেছে। ৭, ৮, ৯ সেপ্টেম্বর আদিবাসী মহল্লায় করম পরবে মেতে উঠবেন জঙ্গলমহলের মানুষজন। আর নবান্ন অভিযান পিছিয়ে দেওয়ার আর একটা বড় হল ওইদিন আগে থেকেই পরবের ছুটি ঘোষণা করেছিল রাজ্য।
৪২ সাংগঠনিক জেলায় সাত জন প্রচারের প্রধান মুখ
বিজেপির ৪২টি সাংগঠনিক জেলা রয়েছে। মঙ্গলবার হেস্টিংসের কার্যালয়ে মেগা বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় ৪২ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি নিজেদের নিজেদের জেলায় প্রচার কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেবেন। রাজ্য নেতৃত্বের তরফে সাত জন ৬টি করে জেলায় প্রচারের প্রধান মুখ থাকবেন। সমস্ত জেলাতেই ফ্লেক্স, হোর্ডিং, ব্যানার পোস্টারে ছেয়ে ফেলতে হবে। অলিতে-গলিতে প্রচার করতে হবে।
বিজেপিকে হটিয়ে বামেরা উঠে এল দ্বিতীয় স্থানে, ফের সবুজ ঝড় উঠল উপনির্বাচনে