টেট দুর্নীতির অভিযোগে ডিআই ঘেরাও, বিজেপি-র আন্দোলনে লাঠিচার্জ, ধৃত ৩৫
দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শককে গ্রেফতারের দাবি বিজেপির। রাতভর ঘেরাও আন্দোলন। আন্দোলন ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ করে। গ্রেফতার ৩৫।
দক্ষিণ দিনাজপুর, ১১ এপ্রিল : প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না রাজ্যকে। যতই নমনীয় হয়ে শিক্ষামন্ত্রী টেট জট কাটানোর চেষ্টা করুন, যে জট পাকানো হয়েছে রাজ্যজুড়ে তা এত সহজে কাটার নয়। ফের বুঝিয়ে দিল দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট।
জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শককে গ্রেফতারের দাবিতে আন্দোলনে নামল বিজেপি। সেই আন্দোলন ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। গ্রেফতার করা হয়েছে ৩৫ জন বিজেপি নেতা-কর্মীকে।
সোমবার রাতভর ঘেরাও করে রাখা হয়েছিল ডিআই সুনীতি সাঁপুইকে। ফলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে বালুরঘাট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরপরই আন্দোলন ছত্রভঙ্গ করতে লাঠচার্জ করা হয় বলে অভিযোগ। মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। পুলিশ লাঠিচার্জের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের তালিকায় রয়েছে বিজেপির জেলা সভাপতি শুভেন্দু সরকার ও সাধারণ সম্পাদক মানস সরকারও।
সোমবার দুপুরে শুরু হয়েছিল ঘেরাও-বিক্ষোভ অভিযান। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের কাছে থেকে সদুত্তর না পাওয়ায় বিক্ষোভ প্রবল আকার ধারণা করে। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শককে গ্রেফতারের দাবিতে এতটাই অনড় ছিলেন বিজেপি কর্মীরা যে, তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ার পরও তাঁর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ চলে। অভিযোগ, পার্শ্বশিক্ষক, এগজেমটেড, তপশ্লি জাতি ও উজাতি-সহ সংরক্ষিত আসনেও টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে।
এই জেলাতেই পার্শ্বশিক্ষকের সংরক্ষিত আসনে চাকরি পাওয়া ৫৫ জনকে বরখাস্ত করে পর্ষদ। তারপরই বিক্ষোভের ঝাঁঝ বাড়ে এই জেলায়। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক থেকে শুরু করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ, এমনকী শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতারের দাবিও ওঠে। এদিন বিজেপি সেই দাবিকে আরও জোরালো করল। বালুরঘাট স্টেডিয়াম চত্বর থেকে মিছিল করে স্কুল পরিদর্শকের অফিসে আসে বিজেপি। কুশপুত্তুল দাহ করা হয় শিক্ষামন্ত্রীর। বিজেপির দাবি জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক অসুস্থতার ভান করছেন। অভিযোগ, পুলিশ দিয়ে তাদের উপর লাঠিচার্জ করা হয়েছে।