জঙ্গলমহলে ‘অনাহারে’ দায়ী বাংলাদেশি মুসলিম অনুপ্রবেশকারীরা, উপায়ও দিলেন বাতলে
জঙ্গলমহলে কেন অনাহারে মৃত্যু হচ্ছে শবরদের, তা নিরূপণ করেন ফেলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। হাওড়ার শরৎ সদনে দলীয় সভায় তিনি বলেন, জঙ্গলমহলে শবর জনজাতির মানুষের অনাহারে মৃত্যু হয়েছে।
জঙ্গলমহলে কেন অনাহারে মৃত্যু হচ্ছে শবরদের, তা নিরূপণ করেন ফেলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। হাওড়ার শরৎ সদনে দলীয় সভায় তিনি বলেন, জঙ্গলমহলে শবর জনজাতির মানুষের অনাহারে মৃত্যু হয়েছে। আর এই অনাহারের কারণ বাংলাদেশি মুসলিমদের অনুপ্রবেশ। বিজেপি রাজ্য সভাপতি ব্যাখ্যা দেন, অনুপ্রবেশকারীরাই ভাগ বসাচ্ছে জঙ্গলমহলের খাবারে।
ক্ষমতায় এলে বাংলায় এনআরসি
দিলীপ ঘোষ বলেন, বিজেপি ক্ষমতায় এলে সবার আগে বাংলায় এনআরসি করবে। বাংলায় এনআরসি করে সব অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশি মুসলিমদের গলা ধাক্কা দিয়ে তাড়ানো হবে। উল্লেখ্য, অসমে এনআরসিতে ৪০ লক্ষ নাম বাদ পড়ার পর, দিলীপ ঘোষরা একই দাবি তুলেছিলেন। ছেড়েছিলেন গলা ধাক্কার হুঙ্কার।
জঙ্গলমহল আর হাসছে না
তৃণমূল প্রায়ই বলত, জঙ্গলমহল হাসছে। সে গল্প কথা আর বের হচ্ছে না তৃণমূলের। জঙ্গলমহলে গেলেই দেখা যাবে অনুন্নয়নের স্পষ্ট চিত্র। এক মাসের মধ্যে সেখানে ৮-৯ জন মারা গিয়েছেন। গত মাসে অনাহারে মৃত্যু হয়েছিল দুজনের। তারপর তাঁদের সন্তানদের পাঠানো হয়েছিল হোমে। সম্প্রতি আরও সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের সন্তানদের হোমে পাঠানো হয়েছে।
রাজ্য ছেড়েছে উন্নয়ন
শুধু কি জঙ্গলমহল, গোটা রাজ্যেরই এমন হাল। তাই তো নবান্নের সামনে গিয়ে আগুন লাগিয়ে মানুষ আত্মঘাতী হচ্ছে। জঙ্গলমহল থেকে পাহাড়- সর্বত্রই মানুষ সুখে নেই। রাজ্যজুড়েই মানুষ কষ্টে আছেন তৃণমূলের আমলে। একদিকে অনাহার, অর্ধাহারে দিন কাটছে মানুষের, আর আমাদের মুখ্যমন্ত্রী নীল-সাদা আলোর বন্যা বইয়ে দিচ্ছেন।
পরিবর্তন এল কই
কলকাতাকে লন্ডন বানাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। চায়না আলোয় সাজাচ্ছেন শহর কলকাতা। কিন্তু শহর চিকন-চাকন করতে গিয়ে দেখেছেন কি রাজ্যের কী হাল! আসলে এই সরকার পরিবর্তন আনতে পারেনি। যে পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন, তা করতে ব্যর্থ। প্রকৃত পরিবর্তন আনবেন তাঁরাই।
প্রথমে বাংলা, পরে দেশ
মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, এনআরসি করা যাবে না, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী, রোহিঙ্গা মুসলিমদের তাড়ানো যাবে না। আমি বলছি, রাজ্যে আমরা ক্ষমতায় এলে সবার প্রথম এনআরসি করব। বাংলায় প্রথম এনআরসি হবে, তারপর এনআরসি হবে সারা দেশে। দিলীপ ঘোষের কথায়, কোটি কোটি অনুপ্রবেশকারী বাংলার বোঝা হয়ে গিয়েছে।
অনুপ্রবেশকারীরা বাংলার বোঝা
দিলীপ ঘোষ বলেন, এ রাজ্যে অনুপ্রবেশকারীরা আমাদের উপর বোঝা হয়ে গিয়েছে। তারা আমাদের খাবার খেয়ে নিচ্ছে। ফলে জঙ্গলমহলের লোক খেতে পাচ্ছে না। চাকরি নেই, ব্যবসা নেই, কর্মসংস্থান শিকেয় উঠেছে রাজ্যে। তাই ওঁদের গলা ধাক্কা দেওয়া ছাড়া বিকল্প উপায় নেই।
এতই দরদ তো সমর্থন করুন
অনুপ্রবেশ নিশানার পাশাপাশি দিলীপ ঘোষ বলেন, বাংলাদেশ থেকে আগত সংখ্যালঘু উদ্বাস্তুকে নাগরিকত্ব দিতে বিল আনছে মোদী সরকার। তিনি এ ব্যাপারে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন অন্য দলগুলিকে। বলেন, তৃণমূল, সিপিএম, কংগ্রেসের যখন এতই দরদ বাঙালির প্রতি। তাদলে তারা বিল সমর্থন করুন।