বিজেপি হেরেই চলেছে লোকসভা ভোটের পর থেকে! কেন, উত্তর খুঁজে পেলেন দিলীপ
লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই বিজেপি খোঁড়াতে শুরু করেছে। যে নির্বাচনই হচ্ছে সেই নির্বাচনেই হারছে বিজেপি। এ রাজ্যে উপনির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে।
লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই বিজেপি খোঁড়াতে শুরু করেছে। যে নির্বাচনই হচ্ছে সেই নির্বাচনেই হারছে বিজেপি। এ রাজ্যে উপনির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে। তিন বিজেপিশাসিত রাজ্যেই জোর ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। এরপরই একের পর এক নির্বাচনে বিজেপির হারের কারণ খুঁজে পেলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
হারের জন্য দায়ী কে
মাত্র সাতমাস আগে মেদিনীপুরে লোকসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন দিলীপ ঘোষ। তারপর তাঁর ছেড়ে যাওয়া কেন্দ্র খড়গপুরের উপনির্বাচনে গোহারা হারতে হয়েছে বিজেপিকে। আর দিন চারেক আগে প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা নির্বাচনে হেরেছে বিজেপি, সেই হারের জন্য দায়ী কে, তার সাফাই দিলেন বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
সরকারের প্রতি সাধারণ মানুষের অসন্তোষ
তিনি বলেন, স্থানীয় সমস্যা আর সরকারের প্রতি সাধারণ মানুষের অসন্তোষ এই হারের জন্য দায়ী। বিরোধীরা যতই দলের ঔদ্ধত্য আর সিএএ বা এনআরসিকে দায়ী করুক, তা ঠিক নয়। ঝাড়খণ্ডে স্থায়ী সমস্যা ছিল, তার জন্যই সরকারের উপর অসন্তোষ তৈরি হয় সাধারণ মানুষের। তারই ফল ভুগতে হয়েছে ঝাড়খণ্ডে।
শাসক দল ভয় পাচ্ছে
এদিন মেদিনীপুরে দুটি সাংগঠনিক সভা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। সেখানে রাজ্যের পুরভোট নিয়ে তিনি বলেন, শাসক দল ভয় পাচ্ছে। ক্ষমতা হারানোর ভয় থেকেই তারা ভোট করতে চাইছে না। ভোট হলেই তৃণমূল হারবে। তাই রাজ্য সরকার জোর করে ১৫টি পুরসভা ও দুটি পুরনিগমের ভোট আটকে রেখেছে।
জিতবে এমন নিশ্চয়তা কোথায়
রাজ্যের শাসকদলের জের ব্যাপারে কোনও আত্মবিশ্বাস নেই। তারা যে কাজ করছে, তাতে জিতবে এমন নিশ্চয়তা কোথায়। তাই পুরসভা ভোট করাতে চাইছে না। দিলীপ ঘোষ বলেন, আমাদের সংগঠন বেড়ে চলেছে। আমরা সবাই এক হয়ে সংগঠন বাড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছি।
মারামারি ছাড়া রাজনীতি হয় না
এদিন তিনি আর বলেন, মারামারি ছাড়া রাজনীতি হয় না। হয় ওরা মারবে, নতুবা আমরা মারব। এই মারমারি চলতেই থাকবে। তাই তো আমি জেলা সফরে গেলেই আমার উপর হামলা হয়। আমার উপর আক্রমণ শানায় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা।