ব্যর্থ মমতার প্রশাসন! সঙ্কল্প-যাত্রা স্থগিত করে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি দিলীপের
রাজ্য প্রশাসন নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ, তাই পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা জরুরি। রাজ্যপালের কাছে সেই দাবি নিয়ে যাবেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
হাইকোর্টের নির্দেশের পরেও রাজ্য প্রশাসন নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় সংকল্প-যাত্রার কর্মসূচি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিল বিজেপি। এই সিদ্ধান্ত ঘোষণার পাশাপাশি বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন,'রাজ্যে আর সুশাসনের কিয়দংশ বর্তমান নেই। রাজ্য প্রশাসন নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ, তাই পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা জরুরি। আমরা রাজ্যপালের কাছে সেই দাবি জানাব।'
[আরও পড়ুন:১০ হাজার কোটির বিনিয়োগ-বার্তা বাংলায়! মোদীকে ছেড়ে মমতার জন্য 'কল্পতরু' আদানি]
উল্লেখ্য, ১২ জানুয়ারি থেকে ১৮ জানুয়ারি সপ্তাহব্যাপী কাঁথি থেকে কোচবিহার সংকল্পযাত্রার কর্মসূচি গ্রহণ করেছিল বিজেপির যুব মোর্চা। প্রথমে এই সঙ্কল্পজ-যাত্রায় বাইক মিছিলের অনুমতি দেয়নি পুলিশ। পরে উচ্চ আদালতের দুই বেঞ্চেই জয় হাসিল করে নেয় বিজেপি।
বিজেপির এই কর্মসূচিতে বাধা দিয়ে আদালতে মুখ পোড়ে শাসকদলের। শেষপর্যন্ত শুক্রবার সকালে বিজেপি তাঁদের শক্তি প্রদর্শনে নেমে পড়ে। যথারীতি পর্যাপ্ত পুলিশ থাকা সত্ত্বেও বিজেপি মিছিলরে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয় প্রশাসন। তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে কলকাতা-সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্ত।
এর পরিপ্রেক্ষিতে বাইক মিছিল ও সঙ্কল্প-যাত্রা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য বিজেপি। রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, 'আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও প্রশাসন তাঁদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। মিছিল বন্ধ করে তাই বিজেপি গান্ধী মূর্তির পাদদেশে অবস্থান বিক্ষোভ করবে। এবং তাঁদের মিছিলের উপর বারংবার আক্রমণের প্রতিবাদে ফের তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হবেন।'
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এদিন সকাল থেকেই কলকাতার জোড়াবাগান এলাকায় গেস্ট হাউসের মধ্যে ঢুকে তৃণমূলকর্মীরা বিজেপি কর্মীদের মারধর করে। এর ফলেই দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। বাঁশ-লাঠি নিয়ে একে ওপরের উপর হামলা চালায়। ইটবৃষ্টি করা হয়। পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। দু-পক্ষেরই বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হন। আক্রান্ত হন আদতাল নিযুক্ত এক পর্যবেক্ষকও।
এই গন্ডগোলের রেশ ছড়িয়ে পড়ে বিজেপির রাজ্য অফিসেও। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ে থেকে মিছিল বেরিয়ে যেতেই বিজেপির সদর দফতরে হামলার অভিযোগ ওঠে। বারবার রাজ্য বিজেপির এই কর্মসূচি বাধাপ্রাপ্ত হওয়ায় শেষমেশ নিরাপত্তার স্বার্থেই বন্ধ করে দেওয়া হয় বিজেপির সঙ্কল্প-যাত্রার কর্মসূচি।
এদিনের এই সঙ্কল্প যাত্রায় বিজেপি তাঁদের শক্তি প্রদর্শনে নেমেছিল। তৃণমূল পরিকল্পিতভাবেই তাঁদের কর্মসূচি ভণ্ডুল করতে পথে নামে। আসলে তৃণমূল বিজেপিকে ভয় পেয়েছে বলে অভিযোগ। তাই প্রথমে অনুমতি না দিয়ে ঠেকানোর চেষ্টা করেছিল বিজেপিকে। তা না পেরে গায়ের জোরে কর্মসূচি বন্ধ করতে রাস্তায় নামে। এই ঘটনাই প্রমাণ করছে তৃণমূলে শেষের শুরু হয়ে গিয়েছে।