অনুব্রত দিনেরবেলাতেও গাঁজা খেয়ে থাকেন! বিস্ফোরণ-কাণ্ডে বিস্ফোরক দিলীপ
অনুব্রতর অভিযোগকে উদ্ভট তত্ত্ব বলে ব্যাখ্যা করে বিজেপি রাজ্য সভাপতি পাল্টা দিলেন। তিনি বলেন, অনুব্রত মণ্ডল কি এখন দিনের বেলায় গাঁজা খান! গাঁজা খেয়ে থাকে রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসনও?
বীরভূমে তৃণমূলের পার্টি অফিস উড়ে গিয়েছিল ভয়াবহ বিস্ফোরণে। এই ঘটনায় বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। অনুব্রতর সেই অভিযোগকে উদ্ভট তত্ত্ব বলে ব্যাখ্যা করে বিজেপি রাজ্য সভাপতি এবার পাল্টা দিলেন। তিনি বলেন, অনুব্রত মণ্ডল কি এখন দিনের বেলায় গাঁজা খান! গাঁজা খেয়ে থাকে রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসনও?
বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, অনুব্রতবাবু সৃষ্টিশীল মানুষ! তিনি দিন দিন এমনই উদ্ভট সব তত্ত্ব খাঁড়া করেন যে সন্দেহ হয়, তিনি এখন দিনের বেলাতেও গাঁজা খেয়ে থাকেন না তো! যদি ঝাড়খণ্ড থেকে বিজেপির সদস্যরা এসে তৃণমূলের পার্টি অফিস উড়িয়ে দিয়ে যান, তাহলে রাজ্যের পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করছে না কেন? তাহলে পুলিশও কি দিনের বেলায় গাঁজা খেয়ে থাকছে!
দিলীপ ঘোষের কথায়, এখন এই ঝাড়খণ্ডের ঘাড়ে দোষ চাপানোর ব্যাপারটা চেন সিস্টেমের মতো অনুব্রত মণ্ডল থেকে ফিরহাদ হাকিম, এমনকী পার্থ চট্টোপাধ্যায় পর্যন্ত বিস্তার লাভ করেছে। প্রতিদিন একই কথা বলে চলেছেন ওঁরা। ওঁরা জানেন না, মানুষ এখন ওই কথা শুনে হাসহাসি করছে। মানুষ সব বুঝতে পারছে, কোথা থেকে কী হয়েছে!
[আরও পড়ুন:কোথাও অবরোধ, কোথাও জ্বলল আগুন! ভারত বনধ -এ আটক ৬০৮ জন, দেখে নিন দিনভরের ঘটনা]
তাঁর আরও দাবি, তৃণমূল পার্টি অফিসগুলো বোমা তৈরির কারখানা হয়ে গিয়েছে। যেখানেই এরকম ঘটনা ঘটছে, সেখানেই দেখা যাচ্ছে তৃণমূল-যোগ। বর্ধমানে বোমা ফাটছে, সেটাও তৃণমূল পার্টি অফিস, বীরভূমে বোমা ফাটছে সেটাও তৃণমূল পার্টি অফিস। আসলে তৃণমূলের পার্টি অফিসগুলো অসামাজিক কাজকর্মের আখড়া হয়ে গিয়েছে। সেইসঙ্গে আরও একটা প্রবণতা বাড়ছে রাজ্যে। তৃণমূল অফিসে ঘটনা ঘটছে, আর বিজেপি কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে জেলে পোরা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন:মমতার পুজোর 'চাঁদা' ২৮ কোটি! এবার রেড রোডে দুর্গা-কার্নিভাল হবে ২৩ অক্টোবর]
উল্লেখ্য, বীরভূমের কাঁকরাতলায় তৃণমূলের পার্টি অফিসে বিস্ফোরণ ঘটে। সেই বিস্ফোরণে গোটা ঘরটাই উড়ে যায়। লোহার দরজা, জানালা, মাথার উপরের ছাদ সব উড়ে যায় বোমার অভিঘাতে। এরপরই অনুব্রত মণ্ডল এই ঘটনার জন্য ঝাড়খণ্ড বিজেপির দিকে আঙুল তোলেন তিনি। বলেন, বীরভূমের ওই এলাকার পাশেই ঝাড়খণ্ড, সেখান থেকে বিজেপির গুন্ডাবাহিনী এসে বোমা মেরে উড়িয়ে দেয় আমাদের পার্টি অফিস। আগেই এই চেষ্টা হয়েছিল, তখন পারেনি। এবার তৃণমূলের পার্টি অফিস উড়িয়ে দিল। এই ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করেন তিনি।
[আরও পড়ুন:এবার পুজোর আগেই বড় 'উপহার' মমতার, 'কল্পতরু' হয়ে বিলোলেন 'শান্তির বাণী']