তৃণমূল কংগ্রেসের অনুষ্ঠানে উঠল বিজেপির স্লোগান, ক্ষমা চেয়ে রক্ষা
তৃণমূল কংগ্রেসের অনুষ্ঠান। উপস্থিত জেলা সভাপতি সহ তাবড় নেতারা। সভায় জেলারই বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতা তৃণমূলে যোগ দেন এদিন। ঘটনাস্থল বালুরঘাটের সাহেব কাছারি এলাকার উৎসব ভবন। তৃণমূলে যোগ দিলেও নিজেদের ভাষণে তাঁরা পুরনো দলের স্লোগান দিয়ে ফেলেন বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। তবে তারা সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে নেন বলে জানা গিয়েছে।

বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ
ঘটনাস্থল বালুরঘাটের সাহেব কাছারি এলাকার উৎসব ভবন। এদিন এই জায়গায় দলের জেলা সভানেত্রী অর্পিতা ঘোষের হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা তুল নেন বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া শতাধিক নেতা-কর্মী। সেই তালিকায় রয়েছেন বিজেপির জেলা সম্পাদক মিঠু মহান্ত, শ্রমিক সংগঠনের নেতা শ্যামসুন্দর সাহাও। তৃণমূলের দাবিএদিন প্রায় ৪ হাজার কর্মী সমর্থক দলে যোগ দিয়েছেন।

তৃণমূলের অনুষ্ঠানে বিজেপির স্লোগান
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিনের দলবদল পর্ব শেষে বক্তব্য রাখতে উঠেছিলেন মিঠু মহান্ত এবং শ্যামসুন্দর সাহা। সেখানেই যত বিপত্তি। দল ছাড়লেও, পুরনো দলের স্লোগান তারা ভুলতে পারেননি। মিঠু মহান্ত তৃণমূল নেতৃত্বকে গৈরিক অবিনন্দন জানান। অন্যদিকে শ্যামসুন্দর সাহা নিজের বক্তব্যের শেষে বিজেপির স্লোগান দেন বলে জানা গিয়েছে। যদি সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে তাঁরা ক্ষমাও চেয়ে নেন। যদিও ততক্ষণে মঞ্চের নিচে থাকা তৃণমূল কর্মীদের মদ্যে হাসাহাসি শুরু হয়ে গিয়েছে।

উন্নয়ন যজ্ঞে সামিল হতে আর সিএএ, এনআরসির বিরোধিতায় দলবদল
এদিন তৃণমূলে যোগ দেওয়া সবাই বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন যজ্ঞে সামিল হতেই দলবদল। পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে সিএএ এবং এনআরসির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছেন, তা তাদের পছন্দ হয়েছে। তাই তৃণমূলে যোগ, জানিয়েছেন, নেতা ও কর্মীরা।


তৃণমূলে যোগ দেওয়ারা দুর্নীতিগ্রস্ত, বললেন বিজেপি সাংসদ
জেলা বিজেপি একাধিক পদাধিকারি এদিন তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। যা নিয়ে বিজেপিতে শোরগোলও পড়ে গিয়েছে। এসম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার দাবি করেছেন, দলে তোলাবাজি এবং দুর্নীতিকে প্রশ্রয় না দেওয়াতেই ওই নেতারা দলবদল করেছেন।