দিদির ফোনে কী কী বলতে হবে, 'আক্রান্ত' কর্মী সমর্থকদের শিখিয়ে দিলেন বিজেপি নেতারা
তৃণমূলের দাবি 'দিদিকে বলো' কর্মসূচিতে ভাল সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। পাশাপাশি তারা এও বলেছে বিরোধীদের তরফে কর্মসূচিতে ব্যাঘাত ঘটানোর চেষ্টা চলছে।
তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি 'দিদিকে বলো' কর্মসূচিতে ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। পাশাপাশি তারা এও বলেছে বিরোধীদের তরফে কর্মসূচিতে ব্যাঘাত ঘটানোর চেষ্টা চলছে। এবারে বিজেপি নেতারা হয়ত সেই ব্যাঘাত ঘটানোর চেষ্টাতেই হাঁটলেন। প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু, 'আক্রান্ত' কর্মী সমর্থকদের বলেছেন, দিদির ফানো ফোন করে বোমা,গুলির মতো কথা জানাতে। একথা বিজেপি কর্মী সমর্থকরা কেন জানাতে পারবেন না, কার্যত সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
অশোকনগরে বিজেপির ওপরে হামলার অভিযোগ
বিজেপির অভিযোগ, ২১ জুলাই অশোকনগরের শ্রীকৃষ্ণপুর পঞ্চায়েতের গিলাপোল এলাকায় বিজেপি কর্রমী সমর্থকদের বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা গুলি ছোঁড়া হয়। এই হামলায় ছয়জন গুরুতর আহত হন। হামলার পিছনে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই রয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির।
কর্মী সমর্থকদের উপদেশ বিজেপি নেতৃত্বের
শ্রীকৃষ্ণপুর পঞ্চায়েতের গিলাপোলs কর্মী সমর্থকদের পাশে দাঁড়াতে গিয়েছিলেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু এবং বিজেপি নেত্রী প্রাক্তন আইপিএস ভারতী ঘোষ। সেখানেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়ান তাঁরা। সায়ন্তন বসু অভিযোগ করেন, একসঙ্গে সন্ত্রাস চালাচ্ছে পুলিশ ও তৃণমূলের মাফিয়ারা। একইসঙ্গে তিনি বলেন, দলের কর্মী সমর্থকরা যেন 'দিদিকে বলো' কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে রাজনৈতিক সন্ত্রাসের পাশাপাশি বোমা-গুলিতে হামলার কথা উল্লেখ করেন।
জনসংযোগের জন্য 'দিদিকে বলো' কর্মসূচি
দিন কয়েক আগে রাজ্যে তৃণমূল নেতৃত্ব তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে জনসংযোগ বাড়াতে অভিনব কর্মসূচি শুরু করা হয়েছে। পোশাকি নাম 'দিদিকে বলো'। অনেক তাবড় তৃণমূল নেতাই বলছেন সাধারণ মানুষের থেকে দূরে সরে গিয়েছে তৃণমূল। এই জনসংযোগ তাদের যথেষ্ট কাজে লাগবে।