বিজেপির রথযাত্রায় হোঁচট, কার্যত ধন্যবাদ জ্ঞাপনের সভা হল কোচবিহারের মঞ্চে
কোচবিহারের সভাস্থল থেকে শুক্রবার বাংলায় বিজেপির রথ ছোটার কথা ছিল। কিন্তু সেই রথযাত্রারসভা তো হলই না। রথযাত্রার সভা আদতে রূপ নিল ধন্যবাদ জ্ঞাপনের সভায়।
কোচবিহারের সভাস্থল থেকে শুক্রবার বাংলায় বিজেপির রথ ছোটার কথা ছিল। কিন্তু সেই রথযাত্রারসভা তো হলই না। রথযাত্রার সভা আদতে রূপ নিল ধন্যবাদ জ্ঞাপনের সভায়। অর্থাৎ বিজেপির রথযাত্রার কর্মসূচি কার্যত হোঁচট খেল শুরুতেই। যদিও বিজেপির পক্ষ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বাংলায় তিন রথযাত্রা হবেই।
শুক্রবার সকাল থেকেই চাপান-উতোর চলছিল বিজেপির প্রথম রথযাত্রা নিয়ে। কিন্তু হাইকোর্টের রায়ের ফলে তা থমকে যায়। অমিত শাহও আসবেন না বলে জানিয়ে দেন। তারপরই এদিনের কোচবিহারের সভাস্থ কার্যত ভাঙাহাটে পরিণত হয়। সেখানে কখনও বাবুল সুপ্রিয়়, কখনও দিলীপ ঘোষ উপস্থিত হয়ে ভাঙা সভা সামলান।
অন্য রাজ্য নেতারা রুদ্ধদ্বার বৈঠকে ব্যস্ত ছিলেন। সর্বভারতীয় সভাপতি কী নির্দেশ দেন, তার উপরই সবকিছু নির্ভর করবে। অমিত শাহ ধীরে চলতে বলেন রাজ্য নেতৃত্বকে। অর্থাৎ রথ হবে, তা অনুমতি মেলার পরই হবে। এই অবস্থায় রথ না বেরোলেও কোচবিহারে সভা হয়। কোনও শীর্ষ নেতৃত্ব না থাকলেও, বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে সভা শেষ করেন।
এদিনের সভা নিয়ে রীতিমতো নাটক শুরু হয়েছিল। অভিযোগ, বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের বিভিন্ন জায়গায় আটকানো হয়েছিল। তা সত্ত্বেও বহু মানুষ এসেছিল কোচবিহারের সভায়। এই ভাঙা সভায় উটে বাবুল সুপ্রিয় বলেন, ট্রেন অবরোধ করা হয়েছে, কর্মীদের বাস আটকানো হয়েছে। বিজেপিকে আটকাতে ভিন্ন পথ নিতে হচ্ছে শাসক দলকে। রথ নিয়ে রাজনীতি করছে তৃণমূল।
এরপর দিলীপ ঘোষ মঞ্চে উঠে সকলকে ধন্যবাদ দেন। বলেন, আমরা কেউই আজ এখানে ভাষন দিতে আসিনি। যেহেতু আমরা সবাইকে আহ্বান করেছিলাম, আপনারা এসেছেন, আমরাও এসেছি। অনুমতি মিললেই আমরা সভা করব। রথযাত্রা বের করব। বিজয়রথ ছোটাব বাংলার বুকে।