বিজেপির ‘গ্ল্যামার-গার্ল’ নেত্রীরা বদলে দিয়েছেন ভাবনা, মিশন একুশে নয়া তাস দিলীপদের
বিগত পাঁচ বছর ধরে গ্ল্যামার জগতের মহিলাদের হাতে রয়েছে বিজেপির মহিলা মোর্চার দায়িত্ব। রূপা গঙ্গোপাধ্যায় থেকে লকেট চট্টোপাধ্যায়, হাতে অগ্নিমিত্রা পাল মহিলা মোর্চার সভানেত্রী।
বিগত পাঁচ বছর ধরে গ্ল্যামার জগতের মহিলাদের হাতে রয়েছে বিজেপির মহিলা মোর্চার দায়িত্ব। রূপা গঙ্গোপাধ্যায় থেকে লকেট চট্টোপাধ্যায়, হাতে অগ্নিমিত্রা পাল মহিলা মোর্চার সভানেত্রী। রূপা-লকেটের হাতে পাঁচ বছরে কিন্তু বদলে গিয়েছে মহিলা মোর্চার হাল। বিগত ২০১৮ সালের পঞ্চায়েতে বিজেপির সাফল্যের পিছনে বিশেষ ভূমিকা রয়েছে তাঁদের।
‘গ্ল্যামার-গার্ল’ নেত্রীতেই ভরসা বিজেপির
সেই সাফল্যের হাত ধরেই ফের গ্ল্যামার জগতের এক নাম অগ্নিমিত্রা পালের উপর ভরসা রেখেছে বিজেপি। রূপা-লকেটদের হাত ধরে ২০১৮-র পঞ্চায়েত নির্বাচনে কমপক্ষে ২৫০০ মহিলা প্রার্থী জিতেছিলেন। যার অর্থ বাংলার রাজনীতিতে মহিলাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় আনতে সফল তাঁরা।
মহিলা মোর্চাকে গুরুত্বের আসনে বসিয়েছেন ‘গ্ল্যামার-গার্ল’রা
লকেটের সময় এই সাফল্য এসেছিল। তথাপি রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের হাত আসার পরই যে উত্তরণ শুরু হয়েছিল বিজেপির মহিলা মোর্চার, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বলা যায়, রূপা সাংগঠনিকভাবে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন, মহিলা মোর্চাকে গুরুত্বের আসনে বসিয়েছেন।
বেঙ্গল মহিলা মোর্চা প্রধান হিসাবে রূপার উত্তরণ
রূপা ২০১৫ সালে বিজেপির বেঙ্গল মহিলা মোর্চা প্রধান হিসাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন। জ্যোৎস্না বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছেড়ে যাওয়া আসনে তিনি অধিষ্ঠিত ছিলেন। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের এক বছর আগে তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। মহিলা শাখার প্রধান হিসাবে তাঁর নিয়োগ বঙ্গ বিজেপি সভাপতি হিসাবে দিলীপ ঘোষের নির্বাচনের সময় হয়েছিল।
লকেট সাফল্য এনে দেন মহিলা মোর্চার সভানেত্রী হয়ে
এরপর লকটে বিজেপিতে যোগদানের দু'বছর পরে ২০১৭-র জুলাই মাসে এই পদে নিযুক্ত হন। ২০১৫ পর্যন্ত তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য ছিলেন। লকেট তৃণমূল ছেড়ে এসে বিজেপিতে মহিলা মোর্চার দায়িত্ব পান দু-বছর পর। এখন তিনি শুধু সাংসদ নন, বিজেপির সাধারণ সম্পাদকও।
লকেটের পথ ধরে আগমন আগ্নিমিত্রার
আর অগ্নিমিত্রা পাল গত মার্চে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের অধীনে তিনি নানা সামাজিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন বহুদিন ধরেই। প্রবীণ নাগরিক এবং মহিলা কারাগারের বন্দিদের নিয়ে তিনি কাজ করছিলেন। এখন বিজেপিতে যোগ দিয়ে তিনি মহিলা মোর্চার দায়িত্বে।
রাজনীতির জগতে এসে এটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি
লকেট বিজেপির সাধারণ সম্পাদক হয়ে জানিয়েছেন, নিজের প্রতি আমার বিশ্বাস ছিল। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে যখন ছিলাম, সেটা ছিল আলাদা পৃথিবী। সাধারণ মানুষ ভাবতেন আমি রোদে বেরোতে পারি না, উত্তাপ ও বৃষ্টিতে কাজ করতে পারি না, ধুলোবালি ঘাঁটতে পারি না, ঘাম ঝরতে পারি না। আমি রাজনীতির জগতে এসে এটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। মানুষের জন্য কাজ করতে চেয়েছি।
মোদীজি আমাকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন
লকেটের পথ ধরেই অগ্নিমিত্রা পাল বলেছেন, "আমার দল আমাকে কাজ করার অনেক সুযোগ দিয়েছে। প্রবীণ নেতারা আমাকে বিশ্বাস করেছেন। আমার বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত মোদীজির জন্য। বিজেপির মতাদর্শ অন্য যে কোনও দলের চেয়ে কিছুটা আলাদা। তবে মোদীজি আমাকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন।