বিজেপিতে অপসারিত সভাপতি! সাফল্যের পরই চাঞ্চল্যকর অভিযোগে প্রকাশ্যে কোন্দল
বিজেপির বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন মালদহ জেলা সভাপতির পদ থেকে সদ্য অপসারিত হওয়া সঞ্জিত মিশ্র। তাঁর এই অপসারণ এবং তারপর সমালোচনায় মুখ খোলার কারণে বিজেপির দলীয় কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এল।
বিজেপির বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন মালদহ জেলা সভাপতির পদ থেকে সদ্য অপসারিত হওয়া সঞ্জিত মিশ্র। তাঁর এই অপসারণ এবং তারপর সমালোচনায় মুখ খোলার কারণে বিজেপির দলীয় কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এল। দলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এনে জেহাদ ঘোষণা করলেন- 'তোলা দিতে পারিনি বলেই আমাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বিজেপির বিরুদ্ধে সাংঘাতিক অভিযোগ
অপসারণের পর রাখঢাক না রেখে সাংবাদিক বৈঠকেই তিনি গর্জে উঠেছেন। আমার বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ আনা হয়েছে, তাতে আমি অপমানিত বোধ করছি। তাই তিনি দিল্লিতেও দরবার করবেন বলে জানিয়েছেন। এমনকী ধর্নায় বসার হুমকিও দিয়েছেন তিনি। প্রয়োজনে আদালতে যাবার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন সঞ্জিতবাবু।
তোলাবাজির মতো সাংঘাতিক অভিযোগ
উল্লেখ্য, রবিবার রাতে বিজেপি-র জেলা সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় সঞ্জিত মিশ্রকে। তার জায়গায় জেলা সভাপতি করা হয় গোবিন্দ মণ্ডলকে। গোবিন্দবাবু দলের সহ-সভাপতি ছিলেন। তাঁর পদোন্নতি হল সঞ্জিতবাবুর অপসারণে। সোমবার জেলা বিজেপি-র কার্যালয়েই তিনি দলের বিরুদ্ধে তোলাবাজির মতো সাংঘাতিক অভিযোগ আনেন।
প্রভূত উন্নতি হয়েছে দলের জেলা সংগঠনে
২০১৮-র জুলাইয়ে সঞ্জিত মিশ্রকে বিজেপি-র জেলা সভাপতি করার পর থেকে মালদহে প্রভূত উন্নতি হয়েছে দলের জেলা সংগঠনে। পঞ্চায়েত নির্বাচনেও ভালো ফল করেছে বিজেপি। সম্প্রতি লোকসভা নির্বাচন ও বিধানসভা উপনির্বাচনেও ভালো ফল করে দেখিয়ে দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, লোকসভা নির্বাচনে দুই আসনে মধ্যে মালদহ উত্তর বিজেপি দখল করেছে। একইসঙ্গে হবিবপুর বিধানসভা উপনির্বাচনেও বিজেপি জয়ী হয়েছে।
বিজেপির ঘরের ঝগড়া প্রকাশ্যে
সঞ্জিতবাবু বলেন, সংগঠন শক্তিশালী হয়েছিল বলেই মালদহ বিধানসভায় উপনির্বাচনে এবং লোকসভায় আসন পেয়েছে বিজেপি। মালদহ দক্ষিণের বিজেপি প্রার্থী ঠিক থাকলে সেই আসনটিও আমরা জিততে পারতাম। এদিন মালদহ দক্ষিণের প্রার্থী নিয়েও তিনি মুখ খোলায় বিজেপির ঘরের ঝগড়া প্রকাশ্যে চলে আসে।
চাকরি ছেড়ে বিজেপি-তে, তারপরও...
চাকরি ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছিলেন সঞ্জিত মিশ্র। তার আগে সেনাবাহিনীতেও কাজ করেছেন তিনি। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর জেলা সভাপতি হয়ে সাফল্য এনে দিয়েছেন। তিনিই এখন অভিযোগ করছেন, দলীয় নেতাদের একাংশের দাবি মেনে তোলা দিতে পারেনি। তাই ১১ মাস পর তাকে সরিয়ে দিল দল।
[আরও পড়ুন:কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ, পুরপ্রধানের স্বামীকে শাড়ি পরানোর অভিযোগ কোচবিহারে ]