রাস্তাতেই চিতা সাজিয়ে সৎকারের উদ্যোগ! নিহতের দেহ নিয়ে লুকোচুরি, পিছু হটল বিজেপি
দুই বিজেপি কর্মীর দেহ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে রীতিমতো লুকোচুরি খেলার পর পিছু হটল বিজেপি। কলকাতায় দেহ নিয়ে আসতে বাধা পেয়ে রাস্তার উপর চিতা সাজিয়ে অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়া করতে উদ্যত হয়েছিল বিজেপি কর্মীরা।
দুই বিজেপি কর্মীর দেহ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে রীতিমতো লুকোচুরি খেলার পর পিছু হটল বিজেপি। কলকাতায় দেহ নিয়ে আসতে বাধা পেয়ে রাস্তার উপর চিতা সাজিয়ে অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়া করতে উদ্যত হয়েছিল বিজেপি কর্মীরা। শেষমেশ দেড় ঘণ্টা বিক্ষোভের পর দেহ সন্দেশখালিতে অন্ত্যেষ্টির জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধের ডাক দেয় বিজেপি।
উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষের পর এখন শবদেহ নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে ওঠে রবিবার। কলকাতায় দেহ নিয়ে যেতে বাধা দেওয়ার অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে এলাকা। বিজেপি পরিকল্পনা করেই দেহ নিয়ে কলকাতায় আসার চেষ্টা করে। পরিবারের দাবি, তাঁরা মৃতদের দেহ নিমতলা শ্মশানে শেষকৃত্য করতে চান। বিজেপিও চাই চায়।
West Bengal: Security forces stop BJP leaders in Basirhat while they were taking the remains of the deceased BJP workers to party office. pic.twitter.com/8xZzwRw0cT
— ANI (@ANI) June 9, 2019
কিন্তু পুলিশ দেহ কলকাতায় নিয়ে যেতে বাধা দেয়। পুলিশের যুক্তি, কলকাতায় দেহ নিয়ে গেলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে। সেই কারণেই দেহ নিয়ে যেতে বাধা দেওয়া হয় বিজেপি নেতা-কর্মীদের। এরপর পুলিশ রাস্তা আটকালে দেড় ঘণ্টা ধরে বিক্ষোভ চলে। কলকাতায় যেতে না দিলে রাস্তায় চিতা সাজিয়ে অন্ত্যেষ্টি করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
শুধু হুঁশিয়ারি দিয়েই ক্ষান্ত হননি বিজেপিকর্মীরা। রাস্তায় চিতা সাজিয়ে অন্ত্যেষ্টির প্রক্রিয়াও শুরু করে দেয় বিজেপি। পুলিশও তৈরি ছিল তাদের আটকাতে। এই অবস্থায় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে বিজেপি পিছু হটে। প্রতিবাদে পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা করেন রাহুল সিনহা। তিনি বলেন, সোমবার ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধের পাশাপাশি জেলায় জেলায় কালাদিবস পালন করা হবে। ১২ জুন লালবাজার অভিযান করবে বিজেপি।
এদিন রাহুল সিনহা জানান, পুলিশ খুনি ধরতে পারল না মৃতদেহ ধরছে। আমাদের নেতার দেহের শেষকৃত্যে যাতে কোনও অমার্যাদা না হয়, তার জন্যই দেহ কলকাতায় নিয়ে যাওয়া থেকে আমরা বিরত থাকলাম। এরপরই দেহ ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় বসিরহাটে। রাহুল সিনহার নির্দেশে রাস্তা থেকে চিতাও সরিয়ে নেওয়া হয়।
বসিরহাট হাসপাতালে নেজতে সংঘর্ষে দুই কর্মীর দেহ নিয়ে রীতিমতো লুকোচুরি খেলায় বিজেপি। দলীয় কর্মীদের দেহ কলকাতায় স্কার্কার চাইছে বিজেপি। কিন্তু দেহ কলকাতায় নিয়ে যাওয়া বাধা দেয় পুলিশ বাহিনী। কিন্তু কিভাবে শরীরের কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হবে, তা ঘুণাক্ষরে বুঝেছেন বিজেপি। দিলীপ ঘোষ ও রাহুল সিনহার নেতৃত্বে কনভয়ে পৌঁছেছেন মালঞ্চ মো। সে কনভয়ে যোগ দেয় শাবক কার। বিজেপিকে আটকে দেয় পুলিশ। গাড়ি থেকে দলবল নিয়ে নেমে পড়া লকেট চটপট। লকেটের দলবলের সাথে একদিকে চলছে পুলিশি বচসা, অন্যদিকে শববাহী গাড়ি নিয়ে কলকাতার দিকে রওনা দিলীপবাবু। তারপর মিনাখাঁয় বাসন্তী মোড় পুলিশি গাড়ি আরাড়ড়ি দাঁড় করিয়ে দেয় বিজেপিকে।
নিহতদের দাবি, শরীরের কলকাতাতেই তারা চায় তারা। কিন্তু পুলিশ বাধা দেয়। দেহ সৎকারের অধিকারও কি তাদের? দেহ কল