বিজেপি অস্ত্র গ্ল্যামারও, তৃণমূলকে মাত দিতে রূপা-লকেটদের পর ভরসার নাম অগ্নিমিত্রা
২০২১ বিজেপির পাখির চোখ। সেই লক্ষ্যে এগোতে শুধু দলের মূল সংগঠনকেই শক্তিশালী করলে হবে না। দলের শাখা সংগঠন বিশেষ করে মহিলা শাখাকেও শক্তপোক্ত করতে হবে।
২০২১ বিজেপির পাখির চোখ। সেই লক্ষ্যে এগোতে শুধু দলের মূল সংগঠনকেই শক্তিশালী করলে হবে না। দলের শাখা সংগঠন বিশেষ করে মহিলা শাখাকেও শক্তপোক্ত করতে হবে। বিজেপি তাদের মহিলা সংগঠনকে শক্তিশালী করতে বরাবরই গ্ল্যামার জগতের উপর ভরসা রেখেছে। তাই রূপা গঙ্গোপাধ্যায় হাত ঘুরে লকেট চট্টোপাধ্যায় হয় এখন মহিলা মোর্চা অগ্নিমিত্রা পালের হাতে।
রূপা থেকে লকেট হয়ে অগ্নিমিত্রা
মহাভারতের দ্রৌপদীর খ্যাতি কাজে লাগাতে রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে বিজেপি মহিলা মোর্চার দায়িত্বে আনে। তারপর রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের হাত থেকে সেই ব্যাটন চলে যায় আর এক টলিউড তারকা লকেট চট্টোপাধ্যায়ের হাতে। ২০২১-এর আগে লকেটের হাত থেকে বিজেপির মহিলা মোর্চার দায়িত্ব এখন ফ্যাশন ডিজাইনার অগ্নিমিত্রা পালের হাতে।
গ্ল্যামার জগতের তারকা বঙ্গ বিজেপির মুখ
বঙ্গ বিজেপির এই পদক্ষেপে পরিষ্কার গ্ল্যামার জগতের তারকাদের মহিলা মোর্চা বা তাদের মহিলা শাখার মাথায় নিয়োগ করার প্রবণতা রয়েছে। অগ্নিমিত্রা জুন মাসের শুরুর দিকে বেঙ্গল মহিলা মোর্চার প্রধান হিসাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। বিজেপিতে যোগদানের এক বছরের মধ্যেই তিনি এতবড় দায়িত্ব পেয়ে গেলেন, তা কেবল তাঁর তারকা ইমেজের জন্যই।
গ্ল্যামার জগতের তারকাদের হাতে ৫ বছর
বিগত পাঁচ বছর ধরে দেখা গিয়েছে এই পদে রয়েছেন গ্ল্যামার জগতের মহিলারা। রূপা গঙ্গোপাধ্যায় গ্ল্যামার জগতের বড় নাম। লকেটও কম যান না। তাঁরা এখন যথাক্রমে রাজ্যসভা এবং লোকসভার সংসদ সদস্য। তার সঙ্গে লকেট পদমর্যাদাতেও অনেক বড় জায়গা পেয়েছেন। তিনি বিজেপির সাধারণ সম্পাদক। তাঁর দলগত অবস্থান দিলীপ ঘোষের পরেই। এখন অগ্নিমিত্রা, যিনি নামকরা ফ্যাশন ডিজাইনার।
দলের প্রতিরোধ সত্ত্বেও সাফল্যের শিখরে
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনজনই তাঁদের উত্তরণের সময় দলের অভ্যন্তরে প্রতিরোধের মুখোমুখি হয়েছিলেন। বেশিরভাগেরই অভিযোগ, তাঁদের রাজনৈতিক অজ্ঞতা নিয়ে। প্রশ্ন ওঠে, তাঁরা চলচ্চিত্র ও ফ্যাশন জগতে তাঁরা যতটা অভিজ্ঞ, রাজনীতিবিদ হিসেবে তাঁদের কী অভিজ্ঞতা আছে। তাঁরা কি এই পদাধিকার সামলাতে পারবেন। প্রথম দুজন কিন্তু তা ভুল প্রমাণ করেছেন। তৃতীয় জনের সবে শুরু।
শুধু গ্ল্যামার দিয়ে নয়, রাজনৈতিক দক্ষতারও পরিচয়
বিজেপি স্বাকীর করেছে, তাঁদের গ্ল্যামার ব্যবহার করা হয়েছে, তাঁদের তুলে ধরতে। তাঁরা কিন্তু শুধু গ্ল্যামার দিয়ে নয়, রাজনৈতিক দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে প্রতি পদক্ষেপে। তবেই এত বছর তাঁরা এই পদ সামলাতে পেরেছেন। দলটিকে তাঁরা এ রাজ্যে প্রতিষ্ঠিত করতেও সহায়তা করেছেন যথেষ্ট।
রূপা-লকেটদের পথে অগ্নিমিত্রাও
রূপা-লকেটরা তাঁদের গ্ল্যামার ছেড়ে ধরনা, রাস্তা অবরোধ ও ঘেরাও কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বিজেপির মহিলা মোর্চাকে রাজ্যের রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে সহায়তা করেছেন। বরং তাঁদের গ্ল্যামারকে ব্যবহার করে তাঁরা মানুষকে বেশি আন্দোলনমুখী করতে পেরেছেন। তার সঙ্গে রাজনৈতিক সত্ত্বা মিশিয়ে অন্য জগৎ তৈরি করেছেন রাজনীতির আঙিনায়। অগ্নিমিত্রাও সেই পথে হাঁটছেন।