দিলীপ ঘোষকে ফোন অমিত শাহের, কাদের দলে নেওয়ার বার্তা দিলেন বিজেপি সভাপতি
রবিবার সকালেই অমিত শাহের ফোন আসে রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষের কাছে। জনসমাগম দেখে খুশি হয়ে প্রশংসা করে অমিত শাহ কী বার্তা দিলেন এদিন।
ধর্মতলায় বিজেপির জমায়েত দেখে বেজায় খুশি দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। তাই কালবিলম্ব না করে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বকে বাহবা দিলেন তিনি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে ফোন করে প্রশংসায় ভরিয়ে দেন অমিত শাহ। শুধু দিলীপ ঘোষকেই নয়, রাজ্যের আরও বিশেষ কয়েকজন নেতাকে তিনি ফোন করে বাহবা দেন বলে বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে।
অমিত শাহ ফোন করে রাজ্য সভাপতিকে বলেন, 'দারুন আয়োজন হয়েছে। ধর্মতলার সমাবেশ একেবারে সফল। এমনটাই চেয়েছিলাম। বিজেপি কর্মীদের মধ্যে যে উন্মাদনা দেখা গিয়েছিল, তা ধরে রাখতে হবে। কোনওভাবেই এই উন্মাদনা, লড়াইকে স্তিমিত হতে দিলে হবে না। বিজেপি রাজ্য নেতাদের আরও সক্রিয় হতে হবে কর্মীদের চাঙ্গা রাখতে।'
রবিবার সকালেই অমিত শাহের ফোন আসে রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষের কাছে। জনসমাগম দেখে খুশি হয়ে প্রশংসা করে অমিত শাহ জানান, 'নিচুতলার আরও নেতা-কর্মীদের দলে টানতে হবে।' তার জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেন সর্বভারতীয় সভাপতি। এদিন তিনি বুঝিয়ে দেন শাসক দলে ধস নামানোই প্রধান লক্ষ্য। মোট কথা তৃণমূলকে ভাঙিয়েই তারা বাড়তে চাইছে।
বিজেপিকে যে করেই হোক শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করানোই তাঁর লক্ষ্য। সে জন্য যে দল থেকেই আসুক না কেন, তাঁদের দলে গ্রহণ করতে হবে। এটাই এখন মূল লক্ষ্য বিজেপির। অমিত শাহের দেওয়া সেই বার্তাই ধ্বনিত হয়েছে দিলীপ ঘোষদের কথায়। দিলীপ ঘোষ ধর্মতলার মঞ্চে বলেছিলেন, 'ভুবনেশ্বর ও পাটনার টিকিট কাটার আগেই আমাদের দলে চলে আসুন। নইলে পরে নাকখত দিয়ে আসতে হবে।' এই আহ্বান দলের অন্দরেই যে নির্ধারিত হয়েছে, তা একপ্রকার স্পষ্ট।