সিপিএমের একমাত্র পঞ্চায়েতও হাতছাড়া, প্রধানের বিজেপিতে যোগদানে ফের পালাবদল
লোকসভা ভোটের দ্বিতীয় জয়ের পর তৃণমূল ভাঙার খেলায় উঠে পড়ে লেগেছিল বিজেপি। তৃণমূলের হাত থেকে একের পর এক গ্রাম পঞ্চায়েত ও পুরসভা ছিনিয়ে নিতে শুরু করেছিল বিজেপি। এবার তারা হাত বাড়াল সিপিএম তথা বামেদের দখলে থাকা রাজ্যের একমাত্র গ্রাম পঞ্চায়েতের দিকে।

গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিজেপিতে
মেখলিগঞ্জের নিজরতফ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুনীল রায় দলত্যাগ করে বিজেপিতে যোগদান করেন। তাঁর সঙ্গে সিপিএম ও ফরওয়ার্ড ব্লকের শতাধিক সদস্যও গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান। ফলে এই মেখলিগঞ্জের নিজরতফ গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে পঞ্চায়েতের দখল নিয়ে নেয়।

পঞ্চায়েতে কার কটি আসন
৯ আসনবিশিষ্ট এই মেখলিগঞ্জের নিজরতফ গ্রাম পঞ্চায়েত। সিপিএম একা সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও, ফরওয়ার্ড ব্লককে সঙ্গে নিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করে তারা। বিজেপি পায় দুটি আসন, তৃণমূল ১টি, সিপিএম ২টি ও ফরওয়ার্ড ব্লক ৩টি আসনে বিজয়ী হয়েছে। ফরওয়ার্ড ব্লকের তিন ও সিপিএমের দুই পঞ্চায়েত সদস্য মিলে বোর্ড গঠন করে, বামেরা পঞ্চায়েত দখল করে।

সিপিএম প্রধানের হাতে গেরুয়া পতাকা
এদিন সিপিএম-ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দেওয়া গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সুনীল রায়ের হাত দলীয় পতাকা তুলে দেন বিজেপি নেতা দধিরাম রায়। বিজেপি নেতা বলেন, তৃণমুলের প্রতি মানুষ তিতিবিরক্ত। এখন সবাই স্বাধীনতা চায়। একমাত্র বিজেপিই, সোনার বাংলা গড়ে তোলার পক্ষে উপযোগী দল। তাই মানুষ বিজেপির দিকে ঢলে পড়ছে।

বিজেপিতে যোগদানের পর প্রধানের বিবৃতি
লোকসভা ভোটের পর শাসক দলে ভাঙন এনে ৬০টি পঞ্চায়েত দখল করেছিল বিজেপি। এদিন সিপিএমের দখলে থাকা গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপি দখল করে নিল। বিজেপিতে যোগ দিয়ে প্রধান বলেন, 'লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের হার এবং বিজেপি জয়ী হওয়ার কারণে পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটেছে। এলাকার সার্বিক উন্নয়নের জন্য, বিজেপিকেই প্রয়োজন। তাই আমি বিজেপিতে যোগ দিলাম।