বাংলা দখলে বিজেপির হাতিয়ার কাশ্মীর ইস্যুও! ‘বাংলার জামাই’ জেপি নাড্ডার নয়া কৌশল
বাংলা দখলে বিজেপির হাতিয়ার কাশ্মীর ইস্যুও! ‘বাংলার জামাই’ নিলেন নয়া কৌশল
২০২১-এ বাংলা দখলই বিজেপির এক ও একমাত্র উদ্দেশ্য। সেই উদ্দেশ্যে সাধনে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা শুধু বাংলার আম্ফান-দুর্নীতি বা করোনার ব্যর্থতার উপর ভরসা করতে নারাজ। তিনি এবার তুলে আনতে চাইছেন কাশ্মীর ইস্যুও। মমতাকে জেরবার করতে ২০২১-এ তিনি এই অস্ত্রও ক্ষুরধার করে তুলতে চান।
বাংলায় পরিবর্তনের আওয়াজ নাড্ডার
জাতীয়তাবাদী নেতা ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ১১৯তম জন্মবার্ষিকীর মঞ্চকে ব্যবহার করে বাংলায় পরিবর্তনের আওয়াজ তুললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। অমিত শাহের স্থলাভিষিক্ত হওয়ার বাংলার জামাই জেপি নাড্ডার এটাই প্রথম বিধানসভা ভোট বাংলায়। বাংলার প্রথম নির্বাচনও বলা যায়।
বাংলার বুকে বিজেপিকে ক্ষমতায় আনতে
এই নির্বাচন তিনি যে কোনও মূল্য জিততে চাইছেন। ভারতীয় জনসংঘের প্রতিষ্ঠাতা শ্যামাপ্রসাদের আদর্শ মেনেই বাংলার বুকে বিজেপিকে ক্ষমতায় আনতে বদ্ধপরিকর। তাই দলের সভাপতি জে পি পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকারকে টার্গেট করলেন শ্যামাপ্রসাদের ১১৯ তম জন্মবার্ষিকীর মঞ্চ থেকে।
তৃণমূল বাংলার উন্নয়নের পথে প্রতিবন্ধক
সোমবার ভার্চুয়াল সমাবেশে নাড্ডা শাসক বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস সরকার বাংলার উন্নয়নের পথে প্রতিবন্ধক হয়ে উঠেছে। তাই বাংলার সরকারের পতন ঘটাতে হবে। বাংলায় পরিবর্তন এনে বিজেপিকে ক্ষমতায় আনতে হবে সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য। পরের বছর অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বাংলার বিধানসভা ভোট। সেখানেই তৃণমূলকে হারিয়ে বিজেপি ক্ষমতায় আসতে চাইছে।
বঞ্চিত করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্প্রতি করোনা ভাইরাস রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কেন্দ্রের সহায়তা না নেওয়ার জন্য বাংলার সরকারকে দোষারোপ করতে শুরু করেছে বিজেপি। এদিনও সেই একই অভিযোগ তোলেন নাড্ডা। তিনি বলেন, আয়ুষ্মান ভারতের মতো কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা থেকে জনগণকে বঞ্চিত করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।
‘এক দেশ, এক নিশান, এক বিধানে’র ডাক
নাড্ডা বলেন, ডঃ মুখোপাধ্যায় জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিনষ্ট করার জন্য ‘এক দেশ, এক নিশান, এক বিধান'-এর আহ্বান জানিয়েছিলেন। পরের বছরের বিধানসভা নির্বাচনের এ রাজ্যে বিজেপি সেই যুদ্ধ জয়ের রায়কে প্রচারের আঙিনায় স্থান দিয়েছে।
নেহরু মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ শ্যামাপ্রসাদের
তিনি আরও বলেন, ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের সময় বাংলা ও পাঞ্জাবকে পাকিস্তানের সঙ্গে যাতে একীভূত না করা হয় তা নিশ্চিতকরণে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছিলেন ডঃ মুখোপাধ্যায়। এই মর্মে তিনি নেহরু মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ পর্যন্ত করেছিলেন। তিনি আদর্শগতভাবে সরকার থেকে দূরে সরে এসেছিলেন।
বংলার সর্বদা নতুন দিকনির্দেশ দিয়েছে
নাড্ডার কথায়, "পশ্চিমবঙ্গ সর্বদা দেশকে একটি নতুন দৃষ্টি ও একটি নতুন দিকনির্দেশ দিয়েছে। তবে বর্তমান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অধীনে রাজ্যের অবস্থা অত্যন্ত করুণ। বর্তমান পশ্চিমবঙ্গ সরকার কেবল রাজ্যে শিক্ষাকেই নষ্ট করেনি, উৎপাদন ও বাণিজ্যও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বর্তমান সরকারের কাছে ক্ষমতায় আঁকড়ে থাকাই একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ।
শ্যামাপ্রসাদ আর মমতার আদর্শকে তুলনা
সেই কারণেই আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচনের জন্য জম্মু-কাশ্মীর ইস্যুকে কৌশল করে জুড়ে দিতে চাইছেন নাড্ডা। যাতে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শকে তুলনা করা যায়। কেন্দ্রের সঙ্গে উভয়ের লড়াই এবং লড়াইয়ের স্বার্থকেও তুলনা করে বিজেপি বাংলার বুকে এগোতে চাইছে।
জঙ্গলমহলে ফের ঘর ভাঙল গেরুয়া শিবিরের! ফের জেলায় বিজেপি ভেঙে শ'য়ে শ'য়ে তৃণমূলে যোগদান