মুকুল-দিলীপের নতুন প্রতিদ্বন্দ্বী হাজির বিজেপিতে! একুশে 'অন্দরে'র লড়াই হবে ত্রিমুখী
বিজেপিতে নয়া প্রতিদ্বন্দ্বী হাজির হচ্ছেন রবিবারই। সাংবিধানিক সমস্ত দায় দায়িত্ব ঝেড়ে ফেলে বঙ্গ রাজনীতিতে সক্রিয় হতে হাজির হচ্চেন তিনি। স্বভাবতই চাপ বাড়ছে মুকুল রায় ও দিলীপ ঘোষদের।
বিজেপিতে নয়া প্রতিদ্বন্দ্বী হাজির হচ্ছেন রবিবারই। সাংবিধানিক সমস্ত দায় দায়িত্ব ঝেড়ে ফেলে বঙ্গ রাজনীতিতে সক্রিয় হতে হাজির হচ্ছেন তিনি। স্বভাবতই চাপ বাড়ছে মুকুল রায় ও দিলীপ ঘোষদের উপর। মুকুল-দিলীপ দ্বন্দ্বের সবে সমাপ্তি ঘটেছে, এরই মধ্যে তথাগত রায় বাংলার রাজনীতিতে নিজেকে প্রাসঙ্গিক করে তুলতে বদ্ধপরিকর হচ্ছেন।
দিলীপ-মুকুলের সমকক্ষ হয়ে ওঠার চেষ্টা!
সম্প্রতি মেঘালয়ের রাজ্যপালের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তথাগত রায়। রবিবার ফিরে আসছেন বাংলায়। এবার তিনি বঙ্গ রাজনীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিকল্প মুখ হয়ে উঠতে দিলীপ-মুকুলের সমকক্ষ হয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন। নিজেকে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদে আদর্শ মুখ হিসেবে তুলে ধরতে চাইছেন।
তথাগতের কাছে এটা কঠিন সম্ভাবনা?
তিনি বিজেপির রাজ্য সভাপতি ছিলেন ২০০৬ সাল পর্যন্ত। তাঁর আমলে বিজেপি ৫-৬ শতাংশের দল হিসেবেই গণ্য হত। কিন্তু মুকুল রায় বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে বিজেপি বাংলায় এখন ৪০ শতাংশের দলে পরিণত হয়েছে। তাই তথাগতের কাছে এটা কঠিন সম্ভাবনা হয়ে উঠেছে।
বিজেপি আদতে যেমন মুখ্যমন্ত্রী-মুখ চাইছে
পক্ষান্তরে, বিজেপি আদতে যেমন মুখ চাইছে, তার সমস্ত গুণ রয়েছে তথাগতের মধ্যে। যা দিলীপ ঘোষ বা মুকুল রায়দের মধ্যে নেই। দিলীপ ঘোষ যেমন মেঠো রাজনীতিতে এই মুহূর্তে বিজেপিতে অপ্রতিদ্বন্দ্বী, তেমনই মুকুল রায় সংগঠনে। কিন্তু ভদ্রলোক মুখ তথাগত, শিক্ষিত-মার্জিত-রুচিশীল আবার আরএসএস-বিজেপির ভাবাদর্শে প্রাণিত পুরুষ।
রাজ্যপাল থাকাকালীনই তিনি সক্রিয়
তথাগত ২০০২ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত বঙ্গ বিজেপির সভাপতি ছিলেন। ২০১৫ সালে তিনি ত্রিপুরার রাজ্যপাল হয়ে প্রবেশ করেন সাংবিধানিক ক্ষেত্রে। তারপর তিনি মেঘালয়ের রাজ্যপাল হয়েছেন। রাজ্যপাল থাকাকালীনই তিনি সক্রিয় রাজনৈতিক নেতার মতো আচরণ বহুবার করেছেন। মোদী থেকে শুরু করে উগ্র হিন্দুত্বের প্রচার চালিয়ে গিয়েছেন সমানে।
আদর্শ মুখ্যমন্ত্রী মুখ, কিন্তু...
এবার বাংলা বিজেপির পাখির চোখ। সেই লক্ষ্যে আদর্শ মুখ্যমন্ত্রী মুখ খুঁজছে বিজেপি। তথাগত সেই আদর্শ মুখ হতে ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন। মেট্রোর চিফ ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন, আবার ছিলেন যাদবপুরের অধ্যাপকও। শিক্ষাগত যোগ্যতা ঈর্ষনীয়, এমন একজনকেই মুখ্যমন্ত্রী মুখ চাইছে বিজেপি, কিন্তু দিলীপ-মুকুলদের লড়াইকে অস্বীকার করবে কী করে বিজেপি!
বঙ্গ বিজেপিতে দিলীপ-মুকুলদের লড়াই কঠিন হবে!
সম্প্রতি তথাগত দিলীপ ঘোষকে নিশানা করেছেন বহুবার। এর মধ্যে সর্বশেষ নিশানায় তিনি বলেছেন গরুর দুধে সোনা, করোনা তাড়াতে গোমুত্র পান- এসব বাঙালি নেয় না। প্রয়োজনে তিনি রাজনীতিতে ফিরতে উৎসাহী বলেও জানিয়েছেন তিনি। অর্থাৎ বঙ্গ বিজেপিতে দিলীপ-মুকুলদের লড়াই কঠিন করে দিতে আসছেন তথাগত।
তথাগতের ফিরে আসা নজিরবিহীন হবে না
রাজ্যপাল হয়ে সক্রিয় রাজনীতিতে ফেরার নজির আগেও রয়েছে। সেক্ষেত্রে তথাগতের ক্ষেত্রে তা নজিরবিহীন হবে না। শীলা দীক্ষিত ফিরে এসেছিলেন সক্রিয় রাজনীতিতে। এখন তথাগত আসতে চাইছেন। অবশ্যই তা সম্ভব, যদি বিজেপি এমনটা চায়। তথাগতও সাফ জানিয়েছেন তিনি অশান্তি বাড়াতে বিজেপিতে আসতে চাইছেন না।
তথাগতও নিশানা করেছেন প্রশান্ত কিশোরকে
তথাগতও এক্ষেত্রে নিশানা করেছেন প্রশান্ত কিশোরকে। প্রশান্ত কিশোর বিজেপিতে ঝগড়া লাগানোর একটা প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছেন বলে তিনি তোপ দেগেছেন। এটা তৃণমূলের রাজনীতি। মুকুল-দিলীপের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা লাগিয়ে রাখতে আদতে তৃণমূলের লাভ। আবার তথাগত রায় রাজনীতিকে ফিরলে সেখানেও আরও একটা চরিত্র পেয়ে যাচ্ছেন প্রশান্ত কিশোর। কিন্তু এই অভিষন্ধি সফল হবে না।
একা রামে রক্ষে নেই সুগ্রীব দোসর
তবে আর যাই হোক না কেন, তথাগত বিজেপিতে সক্রিয় হলে ইগোর লড়াই বাধবে বা বাধানো হবে। রাহুল সিনহা ইতিমধ্যেই তথাগত রায়ের ফিরে আসার বার্তাকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে এমনিতে দিলীপ-মুকুলকে নিয়ে ল্যাজেগোবরে হয়ে যাচ্ছে বিজেপি। তথাগত আসা মানে বিপত্তি বাড়বেই বিজেপিতে।
সিপিএম থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে তারুণ্য! ২০২১ নির্বাচনের আগে সদস্যসংখ্যায় উদ্বেগ
{quiz_300}