বিজেপি পাত্তাই পাচ্ছে না শোভনের! গোঁসা ভাঙাতে ব্যর্থ দিলীপ-মুকুলরা বিপাকে
শোভন চট্টোপাধ্যায় সাড়া দিলেন বিজেপির ডাকে। বারবার ফোন করেও রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা যায়নি শোভনের সঙ্গে। ফলে গান্ধী সংকল্প যাত্রার দায়িত্বও তাঁকে দেওয়া যায়নি।
শোভন চট্টোপাধ্যায় সাড়া দিলেন না বিজেপির ডাকে। বারবার ফোন করেও রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা যায়নি শোভনের সঙ্গে। ফলে গান্ধী সংকল্প যাত্রার দায়িত্বও তাঁকে দেওয়া যায়নি। এই অবস্থায় বিজেপির সঙ্গে তাঁর দূরত্ব যে ক্রমেই বেড়ে চলেছে, তা আবার একবার প্রমাণিক হল। একদিন আগেই দক্ষিণ কলকাতার দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছিল তাঁর পরিবর্ত সব্যসাচীকে।
দক্ষিণ কলকাতার দায়িত্ব দেওয়ার কথা ছিল শোভন চট্টোপাধ্যায়কেই। কিন্তু হঠাৎই মত বদল করে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের পরিবর্তে সব্যসাচী দত্তকে সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর শোভনের মানভঞ্জনের জন্য যাদবপুরের গান্দী সংকল্প যাত্রায় বিজেপি তাঁকে সামনে রেখে নামতে চায়। কিন্তু ধরা দেননি শোভন চট্টোপাধ্যায়।
শোভন বিজেপিতে যোগদানের দিন থেকেই তাঁকে নিয়ে নিত্যদিন বিতর্ক লেগে রয়েছে। প্রশ্ন উঠছে শোভনের ভূমিকা নিয়ে। শোভন বিজেপিতে যোগ দিলেও কোনও কর্মসূচিতে দেখা যাচ্ছে না। তিনি ব্রাত্য থাকছেন, নতুবা ডাক পেলেও তিনি নিজেকে সরিয়ে রাখছেন। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে শোভনের ভূমিকা নিয়ে। বিজেপির রাজ্য নেতৃ্ত্বকেও অস্বস্তির মুখে পড়তে হচ্ছে।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন শোভনদা এখন বাইরে আছেন, তিনি ফিরলেই আমরা কথা বলব বিষয়টি নিয়ে। তিনি কেনও বিজেপির কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন না। মিটিং মিছিলে যাচ্ছেন না, জানতে চাইবেন তিনি। সেইমতোই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু ফায়দা হয়নি।
বিজেপি চাইছে, বৈশাখীর ছায়া থেকে বেরিয়ে আসুন শোভন। তারপর শোভনকে তাঁরা দায়িত্ব বুঝিয়ে দেবেন। কিন্তু শোভন তা করতে পারেননি। তাই তাঁর উপর ভরসা রাখতে না পেরেই সব্যসাচীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তারপর আবার শোভনকে অন্য দায়িত্ব দেওয়ার চেষ্টা হলেও বিজেপি ব্যর্থ হয়।