পৌষমেলার রাশ থাকুক কেন্দ্রের হাতে! বিশ্বভারতী নিয়ে দিল্লির বিজেপি সাংসদ নয়া দাবিতে সোচ্চার
বিজেপি সাংসদের দাবি , বিশ্বভারতীর পৌষমেলা আয়োজিত হোক কেন্দ্রের তত্ত্বাবধানে
রবীন্দ্রচেতনার অন্যতম পীঠস্থান শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতীতে পাঁচিল দেওয়া নিয়ে প্রবল বিতর্ক গত কয়েকদিন ধরেই রাজ্য রাজনীতির পারদ চড়িয়েছে। উপচার্য বনাম স্থানীয় প্রশাসন ও পড়ুয়াদের একাশের শিবির বিভাজন নিয়ে রাজ্যের এই কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। এবার এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পৌষমেলা আয়োজনকে ঘিরে নতুন খবর উঠে আসতে শুরু করেছে।
পৌষমেলা, বিশ্বভারতী ও বিজেপি সাংসদের দাবি
বিশ্বভারতী এর আগে সাফ জানিয়েছে যে পৌষমেলা করতে তারা অপারগ। কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে বিস্তর আলোচনাও হয়েছে। চলেছে বিতর্ক। অনেকেই দাবি তুলে রাজ্যসরকারকে এই মেলার দায়িত্ব নিতে বলেন। সেই প্রসঙ্গে স্বপন দাশগুপ্ত বলেন, 'কেউ কেউ পৌষমেলাকে নিজের কব্জায় রাখতে চায়। সেটাকে ব্যর্থ করতে হবে। '
পৌষমেলা ঘিরে বড় দাবি
এক নামী বাংলা সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, 'বিশ্বভারতীর সংকট' শীর্ষক একটি ওয়েবিনারে বুধবার যোগ দেন দিল্লির বিজেপি সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত। তিনি সেই মঞ্চ থেকেই বলেন যে ,'পৌষমেলা হবে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আদর্শ, বিশ্বভারতীয় ঐতিহ্য মেনেই তা হবে। তবে কেন্দ্র এবার মেলার দায়িত্ব নিক।' উল্লেখ্য, বিশ্বভারতীতে ফার্স্ট গেটের কাছে 'মেলার মাঠে' পাঁচিল দেওয়া নিয়েই যাবতীয় বিতর্ক দানা বেঁধেছে। আর পৌষমেলা নিয়েই এবার বড় বার্তা দিলেন স্বপন দাশগুপ্ত।
উপাচার্যকে নিয়ে বড় পদক্ষেপ
' বিশ্বভারতীর প্রশাসনের মধ্যে অনেক দুর্নীতি ঢুকে গিয়েছে। অনৈতিক কাজকর্ম চালিয়ে যাওয়ার জন্য উপাচার্য বা প্রশাসনের উপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। সেটা রপখতে গিয়েই উপাচার্যকে এমন অনেক পদক্ষেপ করতে হয়েছে , যা বেশিরভাগের জন্যই স্বার্থ বিরোধী।'
বিশ্বভারতীয় অচলাবস্থা নিয়ে বৈঠক
বিশ্বভারতীতে ক্রমাগত অচলাবস্থার জেরে শুক্রবার এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসবেন উপাচার্য। মোট ১১০০ কর্মী, আধিকারিক, অধ্যাপকদের নিয়ে এদিন দফায় দফায় বৈঠক রয়েছে। সেই বৈঠক থেকে কী ফল বেরিয়ে আসে তার দিকে তাকিয়ে বাংলার রাজনীতি।
নুসরতের রাজ্যপালকে নিশানায় রেখে পোস্টের জবাব দিলেন অনুপম! নিট-জয়েন্ট বিতর্কে উত্তপ্ত বাংলার রাজনীতি