বিধানসভা ভোটে বাংলা জয়ে ভূমিকা নেবে সিএএ, কৃষি বিল! গেম চেঞ্জার মুকুল রায়, বললেন রূপা
বাংলা জয়ে ভূমিকা নেবে সিএএ, কৃষি বিল! গেম চেঞ্জার মুকুল রায়, বললেন রূপা
সিএএ এবং কৃষি বিল মোদী সরকারের ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। এমনটাই মন্তব্য করলেন রাজ্যসভায় বিজেপির সাংসদ রূপা গাঙ্গুলি (roopa Ganguly) । তাঁর দাবি পশ্চিমবঙ্গে অবশ্যই ক্ষমতায় আসবে বিজেপি (BJP)। ২০২১-এর নির্বাচনে বিজেপির তরফে মুকুল রায় (mukul roy) যে একটা বড় ফ্যাক্টর তাও জানিয়েছেন রূপা।
সামনের নির্বাচনে সিএএ-র ভূমিকা
এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে রূপা গাঙ্গুলি জানিয়েছেন, ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে সিএএ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। তিনি বলেন, কংগ্রেস এবং তৃণমূল তাদেরকে হিন্দু বলে দাবি করে। কিন্তু বিজেপি যখন একই দাবি করে, তখন তাদের মৌলবাদী বলা হয়। তিনি বলেন, মানু। চাকরি চায়। চায় নিরাপত্তা। একমাত্র বিজেপি সরকারই তা দিতে পারে। তিনি বলেন, সিএএ তাদের জন্য যারা অবৈধভাবে নোংরা উদ্দেশ্য নিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছে। কেননা আমরা সবাই জানি রাজ্য থেকে এনআইএ-র গ্রেফতারের কথা।
মুসলিমদের ওপর সিএএ-র প্রভাব
মুসলিমদের ওপর সিএএ-র প্রভাব নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে রূপা বলেন, কেন মুসলিমরা সিএএ নিয়ে ভয় করবেন? তাঁদের ভয়ের পিছনে একটা কারণ জানাতে বলেন তিনি। আইনে পরিষ্কার বলা হয়েছে, যাঁরা অবৈধভাবে এদেশে এসেছেন, তাঁদের ফিরে যেতে হবে। আর যাঁরা সিএএ-র শর্ত পূরণ করবেন, তাঁদের কোনও ভয় নেই। রূপা গাঙ্গুলির অভিযোগ, গত ৮ বছরে মুসলিমরা বড় সংখ্যায় ভারতে এসেছে। তাঁদের মধ্যে বড় সংখ্যা বসতি করেছে এই রাজ্যে। তিনি পরিষ্কার করে দেন বিজেপি কোনও সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে নয়। বিজেপি ধর্মের নামে কোনও মানুষকে পুষব্যাকও করছে না। বিরোধী দলগুলি এব্যাপারে অপপ্রচার করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
বিজেপিই ক্ষমতায় আসবে
রূপা গাঙ্গুলির বিশ্বাস, ২০২১-এর রাজ্যে বিজেপিই ক্ষমতা দখল করবে। বাংলার মানুষ বিজেপির প্রতি বিশ্বাস রেখেছে। ফলে তিনি নিশ্চিত তৃণমূলকে ক্ষমতা থেকে সরাতে পারবে বিজেপি। তৃণমূলের অপশাসনের জন্য তিনি রাজনীতিতে যোগ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ২০১১ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত তিনি তৃণমূলকে অনুসরণ করতেন। কিন্তু দেখেন তারা বাংলার উন্নয়নের জন্য ভাল নয়। বাংলার সংস্কৃতির বিরুদ্ধে কাজ করে তারা। এছাড়াও তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না।
গেম চেঞ্জার মুকুল রায়
২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে মুকুল রায় যে গেম চেঞ্চার হতে চলেছেন এব্যাপারে তাঁর কোনও সন্দেহ নেই। তিনি বলেন, বেশ কয়েকবছর আগে মুকুল রায় যখন তৃণমূলে, তখন তাঁকে(রূপা) ফোন করেছিলেন বর্তমানে বিজেপির সহ সভাপতি। তাঁকে বিজেপিতে যোগ দিতে বলেছিলেন। পাশাপাশি মুকুল রায় বলেছিলেন, সুযোগ আসলে তিনিও বিজেপিতে যোগ দেবেন। পরে তিনিই(রূপা) মুকুল রায়কে বিজেপিতে যোগ দিতে অনুরোধ করেন। মুকুল রায় অনেক কঠিন কাজ দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে বলে মনে করেন তিনি। রূপা বলেন, তৃণমূলে তাঁর শুভানুধ্যায়ীর সংখ্যা অনেক। পাশাপাশি তাঁর অনেক বন্ধু রয়েছেন, যাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খুব কাছের। তিনি বিজেপিকে রাজ্যে ক্ষমতায় দেখতে চান। তারপর তিনি রাজনীতি ছাড়তে পারেন বলেও জানিয়েছেন। ২০২২ নাগাদ তিনি রাজনীতি ছাড়তে পারেন বলেও ইঙ্গিত করেছেন।
২০১৬ থেকে রাজ্যসভায়
২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে হাওড়া উত্তর থেকে প্রাক্তন ক্রিকেটার লক্ষ্মীরতন শুক্লার বিরুদ্ধে লড়াই করে হেরে যান। এরপর নভজ্যোত সিম সিধুর জায়গায় তাঁকে রাজ্যসভায় মনোনীত করা হয়।
গঙ্গার ঘাটে ঘাটে আজও চলছে প্রতিমা বিসর্জন, চলছে স্যানিটাইজেশন