‘মোদী-ভক্ত’ রূপা কি পদ্ম ছেড়ে ঘাসফুলে পা বাড়িয়ে, কুণাল-সাক্ষাতে জল্পনা তুঙ্গে
‘মোদী-ভক্ত’ রূপা কি পদ্ম ছেড়ে ঘাসফুলে পা বাড়িয়ে, কুণাল-সাক্ষাতে জল্পনা তুঙ্গে
একজন বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। অন্যজন তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ। সম্প্রতি তিনি আবার তৃণমূলের মুখপাত্র তথা রাজ্য সাধারণ সম্পাদকও। এহেন দুই নেতা-নেত্রীর সাক্ষাৎ মানে জল্পনা তো হবেই। জল্পনার পারদ চড়লও বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায় ও তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের সাক্ষাতে। স্বাভাবিকভাবেই এই সাক্ষাৎ দলবদলের জল্পনা উসকে দিল 'মোদী-ভক্ত' রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের।
‘দয়া করে রাজনীতি মিশিয়ে দেবেন না’
মঙ্গলবার এক ঘরোয়া অনুষ্ঠানে রূপা গঙ্গোপাধ্যায় ও কুণাল ঘোষের সাক্ষাৎ হয়। এই সাক্ষাতের পরই কুণাল ঘোষ জানান, নেহাতই সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ। রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী। তিনি সেই আটের দশক থেকে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে তিনি সুনামের সঙ্গে কাজ করে এসেছেন। তিনি আমরা দিদির মতো। বহুদিনের পরিচিত। তাঁর সঙ্গে দেখা হয়েছে, কথা হয়েছে। এই সৌজন্যমূলক সাক্ষাতের সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। দয়া করে এই সাক্ষাতের সঙ্গে রাজনীতি মিশিয়ে দেবেন না।
মোদীর অন্ধ ভক্ত! কুণাল-সাক্ষাৎকে জল্পনা ওড়ালেন রূপা
কুণাল ঘোষের পাশাপাশি এই সাক্ষাৎকার নিয়ে মুখ খুলেছেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ও। প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ জানিয়েছেন, আমি মোদীর অন্ধ ভক্ত। অনেকেই এই সাক্ষাৎকে কেন্দ্র করে দলবদলের জল্পনা উসকে দিচ্ছেন। কিন্তু কেউ আমাকে দল থেকে তাড়াতে পারবেন না। আমি বিজেপিতে আছি, বিজেপিতেই থাকব। একইসঙ্গে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, এদিনের সাক্ষাৎ ছিল নিছকই সৌজন্যের। পুরনো বন্ধুরা একসঙ্গে বসে জমিয়ে আড্ডা দিয়েছি। সবাই খুব ভালো ব্যবহার করেছেন।
রূপা কি তবে পদ্ম ছেড়ে তৃণমূলের পথে?
তারপরেও অবশ্য জল্পনা থামেনি। কেননা রূপা গঙ্গোপাধ্যায় দীর্ঘদিন ধরেই বেসুরো। তিনি বিজেপির বঙ্গ নেতৃত্বে সমালোচনা করেছেন বারবার। সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে বিতর্কিত মন্তব্যও করেছেন। লিখেছেন রাজনীতিতে আসা মানে সময় নষ্ট। তারপর তিনি তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন এক অনুষ্ঠানে। ফলে জল্পনা তো হবেই! জল্পনা এই যে, রূপা কি তবে পদ্ম ছেড়ে তৃণমূলের পথে? আপাতত নিজেকে মোদীর অন্ধ ভক্ত পরিচয় দিয়ে সেই অস্বস্তি এড়িয়েছেন রূপা।
‘বেসুরো’ নেত্রীকে নিয়ে জল্পনা তো চলবেই!
রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে বঙ্গ বিজেপির বর্তমান নেতৃত্বের দূরত্ব সম্প্রতি অনেকটাই বেড়েছে। বেশ কিছুদিন ধরেই রূপা গঙ্গোপাধ্যায় বঙ্গ নেতৃত্বের কাছে গুরুত্ব পান না। একটা সময়ে বঙ্গ বিজেপির মহিলা মোর্চার সভানেত্রী ছিলেন তিনি। কিন্তু বঙ্গ নেতৃত্বের সঙ্গে মতানৈক্যের জেরে তিনি নিজেকে সরিয়ে নেন দিল্লির রাজনীতিতে। তাঁকে রাজ্যসভার সাংসদ করে দিল্লিতে পাঠায় বিজেপি। রাজ্যসভার সাংসদ পদের মেয়াদ ফুরনোর পর এখনও তিনি বঙ্গ বিজেপিতে বেসুরো। স্বভাবতই 'বেসুরো' নেত্রীকে নিয়ে জল্পনা তো চলবেই!
নজর রাজ্যসভার টিকিট! মিঠুনকে নিয়ে কোন নতুন পরিকল্পনায় গেরুয়া শিবির?