দায়িত্ব ছাড়তে চেয়ে কল্যাণকে চিঠি প্রভাবশালী বিজেপি নেত্রীর! লম্বা হচ্ছে 'বিদ্রোহী'র তালিকা
সম্প্রতি নতুন করে জেলা কমিটি গঠন করা হয়। উত্তর কলকাতার জন্যে নয়া জেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়। আর তা করতেই বিদ্রোহের সুর। তাও আবার কিনা সুনীতা ঝাওয়ারের মতো বিজেপি নেত্রীর। জানা গিয়েছে, চিঠি দিয়েছেন উত্তর কলকাতা জেলার নতুন সভা
বিদ্রোহের তালিকা ক্রমশ লম্বা হচ্ছে বঙ্গ বিজেপিতে! সম্প্রতি নতুন করে জেলা কমিটি গঠন করা হয়। উত্তর কলকাতার জন্যে নয়া জেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়। আর তা করতেই বিদ্রোহের সুর। তাও আবার কিনা সুনীতা ঝাওয়ারের মতো বিজেপি নেত্রীর। জানা গিয়েছে, চিঠি দিয়েছেন উত্তর কলকাতা জেলার নতুন সভাপতি কল্যাণ চৌবেকে।
আর তাতে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, আর কোনও দায়িত্বে তিনি আর থাকতে পারবেন না। তবে দলের সাধারণ কর্মী হিসাবে কাজ করে যাবেন বলে জানিয়েছেন সুনীতা।
বিজেপিতে বিদ্রোহ বাড়ছে
গত কয়েকদিন ধরে বিজেপিতে বিদ্রোহ বাড়ছে। সাংসদ শান্তনু ঠাকুর বিদ্রোহী নেতাদের একজোট করার কাজ করছেন। আর তা একের পর এক পিকনিকের মাধ্যমে করছেন। আর সেখানে দাঁড়িয়ে জয়প্রকাশ মজুমদার এবং রিতেশ তিওয়ারিকে বরখাস্ত করে বিদ্রোহীদের কড়া বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। কিন্তু তাতেও কোনও কাজ হয়নি তা এদিনের সুনীতার বিদ্রোহের পর স্পষ্ট।
সুনীতা ঝাওয়ার বিজেপির অন্যতম পুরানো কর্মী
সুনীতা ঝাওয়ার বিজেপির অন্যতম পুরানো কর্মী। টানা পাঁচ বারের কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলর ছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, তাঁর স্বামী এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও বিজেপির একনিষ্ঠ কর্মী। কলকাতা জেলার সভাপতি থেকে রাজ্য কমিটিতেও ঝাওয়ার পরিবার থেকে অনেকেই থেকেছেন।
যদিও এই বছর তৃণমূল প্রার্থীর কাছে হেরে যান সুনীতা। বড় ভোটের ব্যবধানে হারতে হয় তাঁকে। আর এরপরেই জেলা কমিটিতে বড়সড় রদবদল। কলকাতার গুরু দায়িত্ব দেওয়া হয় কল্যাণ চৌবেকে। আর এরপর কল্যাণবাবু যে কমিটি তৈরি করেন সেখানে সহ-সভাপতি হিসাবে গুরু দায়িত্ব দেওয়া হয় সুনীতা ঝাওয়ারকে।
জানা গিয়েছে, কল্যাণের কমিটিতে মোট আটজন সহ-সভাপতি রয়েছেন। তাঁর মধ্যে ষষ্ঠ নামটি সুনীতার।
কল্যাণ চৌবেকে চিঠি প্রাক্তন বিজেপি কাউন্সিলারের
আর এরপরেই দায়িত্ব ছাড়তে চেয়ে কল্যাণ চৌবেকে চিঠি প্রাক্তন বিজেপি কাউন্সিলারের। যদিও এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি তিনি। তবে ঘনিষ্ঠমহলে এই বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সুনীতা। সুত্রের খবর, সদ্য রাজনীতিতে এসেছেন কল্যাণ। সেখানে তাঁকে গুরু দায়িত্ব দেওয়া হলেও তাঁর নীচে দায়িত্ব দেওয়া হল দীর্ঘদিনের কর্মী সুনীতাকে।
আর তাতেই অপমানিত হন বিজেপি নেত্রী। ভোটে হেরে গেলেও তাঁর দক্ষতা কোনও অংশে কমেনি। তা স্পষ্ট ঘনিষ্ঠমহলে সুনীতা জানিয়ে দিয়েছেন বলেই খবর।
সুকান্ত মজুমদারকে চ্যালেঞ্জ
উল্লেখ্য গত কয়েকদিন আগেই সাংবাদিক বৈঠকে সুকান্ত মজুমদারকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে ছিলেন বহিস্কৃত দুই নেতা। জয়প্রকাশ মজুমদার জানান, কমিটি নিয়ে ক্ষোভ বিজেপির অনেক গভীরে পৌঁছে গিয়েছে। কীভাবে সামলাবেন নয়া বিজেপি সভাপতি?