তৃণমূলের চরগিরি করছেন বিজেপি নেতা! গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে নয়া রোগ ক্রমেই প্রকট হচ্ছে
সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের নির্দেশ কার্যকর করতে গিয়েই প্রকট হয়ে গিয়েছে তৃণমূলের যুব সভাপতির সঙ্গে দলের নেতার যোগাযোগ।
বিজেপিতে রয়ে গিয়েছে তৃণমূলের চর। না হলে অন্দরের খবর কী করে প্রকাশ হয়ে যাচ্ছে! সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ রাজ্য নেতৃত্বকে ডেকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, অবিলম্বে তৃণমূলের চরগিরি করছেন যাঁরা, তাঁদের দল থেকে সরাতে হবে। আর সেই কাজ করতে গিয়েই প্রকট হয়ে গিয়েছে তৃণমূলের যুব সভাপতির সঙ্গে দলের নেতার যোগাযোগ।
অভিযোগ দলের এক সভাপতির বিরুদ্ধে
এবার লোকসভায় ৪২-এ ২২-এর টার্গেট নিয়ে এগোচ্ছে বিজেপি। ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকট রূপ নিচ্ছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার পশ্চিম প্রান্ত বিজেপি সভাপতি অভিজিৎ দাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন দলের সহ সভাপতিরা। অভিযোগ, তাঁর সঙ্গে তৃণমূলের যুব সভাপতির ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে।
তৃণমূল যুব সভাপতির সঙ্গে যোগাযোগ
তৃণমূলের যুব সভাপতি তথা ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিজেপির পশ্চিম প্রান্ত সভাপতির যোগাযোগ নিয়েই এখন চর্চা চলছে রাজনৈতিক মহলে। বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব বিষয়টিকে আমল দিতে না চাইলেও, জেলা নেতৃত্ব তা থেকে বের হতে পারছে না। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই উঠে আসছে এই ঘটনা।
হিটলারের মতো ব্যবহারের অভিযোগ
বিজেপি নেতা-কর্মীরাই বলছেন, পশ্চিম প্রান্ত সভাপতি তাঁদের সঙ্গে হিটলারের মতো ব্যবহার করেন। দলে তেকে তিনি অন্য দলকে কথ্য সরবরাহ করেন বলেও অভিযোগ তোলা হয়েছে। এমন অভিযোগও উঠেছে, বিজেপির ওই পশ্চিম প্রান্ত সভাপতি রাজ্য সভাপতির ঘনিষ্ঠ, তাই তাঁকে কিছু বলা যায় না।
[আরও পড়ুন:৫৫ কোটির সোনা উদ্ধার শিলিগুড়িতে! আন্তর্জাতিক পাচার চক্রের জাল কাটলেন গোয়েন্দারা]
বিরুদ্ধে কথা বললেই বহিষ্কারের হুমকি
বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেননের কাছে শীঘ্রই তাঁরা তদ্বির করবেন বলেও জানিয়েছে একাংশ। তবে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু, এই অভিযোগকে একেবারেই উড়িয়ে দিয়েছেন। যাঁরা অভিযোগ করছেন, তাঁরাই দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করছেন বলে মত তাঁর। অভিযোগ থাকতেই পারে, তবে তা জানাতে হবে সঠিক জায়গায়।
[আরও পড়ুন;বিজেপি শাসিত রাজ্যে রাজ্যে 'জায়ান্ট কিলার'! রাহুলের তারিফ কংগ্রেসে]