ডিসেম্বর মাস ঐতিহাসিক! পরিকল্পনা মাফিক এগোচ্ছে বিজেপি, শুভেন্দুকে নিয়ে কোন বার্তা দিলীপের
শুভেন্দু বড় নেতা! পরিকল্পনা মাফিক এগোচ্ছে বিজেপি, বার্তা দিলেন দিলীপ
এই ডিসেম্বর মাস রাজ্য রাজনীতির ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ। ইকোপার্কে এমনটাই মন্তব্য করেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ (dilip ghosh)। শুভেন্দু অধিকারীর পদত্যাগ প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, অন্য দলের অভ্যন্তরের ব্যাপার। তবে শুভেন্দু অধিকারী (suvendu adhikari) বিজেপিতে যোগ দিতে চাইলে, তাঁকে স্বাগত জানানো হবে বলেও মন্তব্য করেছেন দিলীপ ঘোষ।
বিজেপির সব কিছুতেই চমক
এদিন দিলীপ ঘোষ বলেছেন বিজেপির সব কিছুতেই চমক। যা হচ্ছে সেটাই চমক। তাদের থেকে বেশি চমক এখন তৃণমূলে। এমনটাই মন্তব্য করেছেন দিলীপ ঘোষ। কটাক্ষ করে তিনি বলেন, রোজ সকাল হলেই শোনা যাচ্ছে এ চলে গেল, ও চলে গেল। দিলীপ ঘোষ আগেই বলেছিলেন ডিসেম্বর জানুয়ারিতে তৃণমূল বুঝতে পারবে। শীতেও গায়ে ঘাম দেবে। এদিন তিনি বলেন, ডিসেম্বর মাসটা ভারতের রাজনীতিতে ঐতিহাসিক ডিসেম্বর মাস।
পরিকল্পনা মাফিক এগোচ্ছে বিজেপি
দিলীপ ঘোষ বলেছেন, বিজেপি পরিকল্পনা মাফিক এগোচ্ছে। তার ফল আগেকার নির্বাচনগুলিতে পাওয়া গিয়েছে। তিনি বলেন, প্রত্যেকটা প্রোগ্রামের প্ল্যানিং করেই হয়। অমিত শাহের মেদিনীপুরের সভা প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, নিশ্চয়ই সেখানে কোনও চমক থাকবে। কতজন সেদিন সেখানে গেরুয়া শিবিরে যোগদান করতে পারেন, সেই প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ ঘোষ বলেন, যতক্ষণ না পতাকা ধরছে ততক্ষণ বলা যাচ্ছে না। তবে ভালই হবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
সুনীল মণ্ডলের বাড়িতে বৈঠক তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ
বুধবার বর্ধমান পূর্বের তৃণমূল সাংসদ সুনীল মণ্ডলের পানাগড়ের বাড়িতে বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন একাধিক তৃণমূল বিধায়ক ও নেতারা। এব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে দিলীপ ঘোষ বলেন, বিষয়টি তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ। সেব্যাপারে তাঁর কোনও মন্তব্য নেই।
সিএম-এর চাইতে শুভেন্দু বড় নেতা
ফিরহাদ হাকিম বৈঠকের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন জানিয়েছিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে। কিন্তু তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। এরপর বুধবার দিনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গ থেকে জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে মাথা গরম না করতে অনুরোধ করেন। বলেন, তিনি কলকাতায় ফিরে বৈঠক করবেন। যদিও সন্ধেয় জিতেন্দ্র তিওয়ারি হাজির হয়ে যান সাংসদ সুনীল মণ্ডলের বাড়িতে। যেখানে উপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে দিলীপ ঘোষ বলেন, কেউ কেউ সিএম-এর চাইতে শুভেন্দু অধিকারীকে বড় নেতা, বিশ্বাসযোগ্য নেতা বলে মনে করছেন। মমতা সেই তুলনায় বিশ্বাসযোগ্য নয়, তাই তাঁর সঙ্গে বৈঠক।
কংগ্রেস ছাড়ার সময় বিশ্বাসঘাতকতা করেননি?
বুধবার সৌগত রায় শুভেন্দু অধিকারীকে বিশ্বাসঘাতক বলে বর্ণনা করেছেন। এব্যাপারে মন্তব্য করতে গিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, তাঁরা যখন কংগ্রেস ছেড়ে এসেছিলেন, তখন তাঁরা বিশ্বাসঘাতকতা করেননি? তিনি সৌগত রায়কে নিজের ইতিহাস মনে করতে বলেন।
শুভেন্দুকে নিয়ে শোরগোলের মাঝেই মমতার পাশ থেকে নিঃশব্দে সরে দাঁড়ালেন আর এক 'সহযোদ্ধা'