বিজেপিতে বিদ্রোহী রূপা, বহিষ্কার-জল্পনায় পুরভোটের আগে অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির
বহিষ্কার-জল্পনায় পুরভোটের আগে অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির
বিজেপির অস্বস্তি দিনের পর দিন বাড়িয়েই চলেছেন দলের রাজ্যসভার সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। তা সত্ত্বেও কেন তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না, প্রশ্ন উঠে পড়ল বিজেপিতেই। দলের লাইনের বিরোধিতা করে নিত্যদিন তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে চলেছেন। এমনকী বিজেপির ডাকা বৈঠক নিয়েও প্রকাশ্যে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন তিনি। তবু নীরব বিজেপি নেতৃত্ব।
বিজেপিতে বিদ্রোহী রূপা, বাড়ছে অস্বস্তি
আসন্ন পুরভোটে বিজেপি তাঁকে অন্তর্ভুক্ত করতে চেয়েছিল। কিন্তু দলের বৈঠকে যোগ দিয়ে তিনি বিস্ফোরণ ঘটান। বলেন, কেন এমন বৈঠকে তাঁকে ডাকা হয়। বৈঠকের যথার্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেন তিনি। তারপর ফেসবুকে পোস্ট করে তিনি বিজেপি কাউন্সিলরের রহস্য মৃত্যু নিয়ে বিতর্ক বাড়ান। অভিযোগের আঙুল তোলেন বিজেপি নেতৃত্বের দিকেই।
রূপাকে নিয়ে বিব্রত বঙ্গ বিজেপি দোটানায়
এখানেই শেষ নয়, এরপর তিনি আসন্ন কলকাতা পুরভোটে দলীয় প্রার্থীকে সমর্থনেকর কথা না বলে নির্দল প্রার্থীকে সমর্থনের বার্তা দেন। ৮৬ নম্বরে তিনি বিজেপির বিক্ষুব্ধ নির্দল প্রার্থী গৌরব বিশ্বাসতে সমর্থন এবং তাঁর পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দেন। প্রার্থনা করেন তাঁর জয়ের জন্য। তাঁর কাজকর্মে বিজেপির অস্বস্তি বাড়তেই থাকে। কিন্তু দল এখনও তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।
বিজেপি নয়, প্রকাশ্যে নির্দলকে সমর্থন রূপার
বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায় দলের প্রয়াত ৮৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তিস্তা বিশ্বাসের মৃত্যু নিয়ে সরব হয়েছিলেন প্রকাশ্যেই। দলের দিকেই তিনি অভিযোগের তির ছুড়েছিলেন। তারপর ওই ওয়ার্ডে বিজেপির টিকিট না পেয়ে নির্দল প্রার্থী হন প্রয়াত তিস্তা বিশ্বাসের স্বামী গৌরব বিশ্বাস। তাঁকে জয়ী করার আহ্বান করেন সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়।
শোকজও করেনি দল, প্রশ্ন উঠেছে বিজেপিতেই
বিজেপির বিক্ষুব্ধ প্রার্থীকে সমর্থনের জন্য দল তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে, তা উপেক্ষা করেই তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন ফেসবুক পোস্টে নিজের লেখা মেসেজে। কিন্তু কোনও এক বিশেষ কারণে দল এখনও তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এমনকী শোকজও করেনি দল। তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে বিজেপির একাংশ।
রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে আলোড়ন শুরু
কলকাতা পুরভোটে আর একদিন বাদে। তার আগে দলের মধ্যেই রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে আলোড়ন শুরু হয়েছে। বঙ্গ বিজেপির নেতারাও অস্বস্তিতে পড়ছেন। এর ফলে জল্পনা শুরু হয়েছে রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়েও। তবে কি রূপা গঙ্গোপাধ্যায় রাজনীতি থেকে সরে যেতে চাইছেন, নাকি অন্য কোনও দলে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে, তা নিয়েও গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।
রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেবে বিজেপি?
রাজ্য নেতৃত্ব এখন রূপা গঙ্গোপাধ্যায় ইস্যুতে ধীরে চলো নীতি নিয়েছে। তারা চাইছে না পুরভোটের আগে নতুন করে কোনও সংকট তৈরি করতে। তবে অস্বস্তি অন্য কারণেও তৈরি হয়েছে। কারণ দলের লাইন অস্বীকার করলে ছোটখাটো নেতাদের বহিষ্কার করা হচ্ছে। কিন্তু কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো বড় নেত্রীদের ক্ষেত্রে। এখন দেখার কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এই ইস্যুতে কী পদক্ষেপ নেয়।