পুলিশ পেটাল বিজেপি! বিজয় মিছিলে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনির আঁচে ফের তপ্ত কেশপুর
বিজেপির বিজয় মিছিলে ‘জয়শ্রীরাম’ ধ্বনি উঠতেই তপ্ত হয়ে উঠল এলাকা। পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বেঘে পুলিশের। এই ঘটনায় গুরুতর জখম হলেন দুই পুলিশকর্মী।
বিজেপির বিজয় মিছিলে 'জয়শ্রীরাম' ধ্বনি উঠতেই তপ্ত হয়ে উঠল এলাকা। পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বেঘে পুলিশের। এই ঘটনায় গুরুতর জখম হলেন দুই পুলিশকর্মী। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর থানার বিশ্বনাথপুর এলাকায়। আহত দুই পুলিশকর্মীকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানাগিয়েছে, সোমবার কেশপুরের বিশ্বনাথপুর এলাকায় বিজেপি কর্মীরা বিজয় উৎসবের আয়োজন করেছিল। দুপুরের পর থেকেই বিশ্বনাথপুরের রঘুনাথপুর গ্রামে বিজয় মিছিলের জন্য মাইক বাজিয়ে 'জয়শ্রীরাম' স্লোগান চলতে থাকে। বিশ্বনাথপুর পঞ্চায়েত অফিসের পুলিশ ক্যাম্প থেকে পুলিশকর্মীরা এসে বিজেপির মিছিলে বাধা দেয়।
তাদের দাবি, বিজয় মিছিল করুন। কিন্তু 'জয় শ্রীরাম' বলা যাবে না। তা শুনেই বিজেপিকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে পড়ে। পুলিশের উপর চড়াও হলে পুলিশ পাল্টা লাঠিচার্জ করে। কেশপুরের বিজেপি নেতা মহম্মদ সেলিম বলেন, 'পুলিশ লাঠিচার্জ করলে নিজেদের আত্মরক্ষার্থে বিজেপি কর্মীরা ইট ছোঁড়ে।
বিজেপি নেতা সেলিম বলেন, পুলিশকে জানিয়েই এদিন আমাদের বিজয় মিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল। প্রায় আড়াই কিলোমিটার দূরে পুলিশ ক্যাম্প থেকে পুলিশ গিয়ে রঘুনাথপুরে মাইক বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করে। 'জয়শ্রীরাম' ধ্বনিতেও বাধা দিলে গোলমাল বাধে।
স্থানীয় বাসিন্দা রেখা মাজি বলেন, 'বিজেপির মিছিলের মাইক বাজছিল। মাইকটা একটু জোরেই বাজছিল এবং 'জয়শ্রীরাম' স্লোগান দিচ্ছিল। পুলিশ এসে সেই মাইক বন্ধ করতে বলে। তখন মাইকের সাউন্ড কিছুটা কমিয়ে দেয়। তারপর কী নিয়ে বচসা বা ইট ছোঁড়াছুঁড়ি তা আর বুঝতে পারলাম না'।
গ্রামবাসীরা বলেন, পুলিশের লাঠি চার্জে বেশকয়েকজন বিজেপি কর্মী গুরুতর ভাবে জখম হয়েছে। তাঁদেরকে হাসপাতালে আনতে দিচ্ছে না বলে বিজেপির অভিযোগ। কয়েকদিন ধরেই কেশপুরের বিভিন্ন গ্রামে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে গোলমালের ঘটনা ঘটে চলেছে। বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে শাসকদল বিজেপির পতাকা ছেঁড়া, কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর করে ভয় দেখাচ্ছে।
তৃণমূল অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পুলিশসূত্রে জানাগিয়েছে বিশ্বনাথপুর পুলিশ ক্যাম্পে মাত্র কয়েকজন পুলিশকর্মী ছিল। তাঁদের উপর বিজেপি কর্মীরা হামলা চালায়। বিজেপি কর্মীদের আক্রমণে দু-জন পুলিশকর্মী গুরুতর জখম হয়েছেন। তার মধ্যে একজন পুলিশ অফিসার শরিফ আলি খাঁ।