অমিত শাহের নির্দেশ! সাফল্য আনতে বিজেপি শুরু করেছে ২৩ দফা কর্মসূচি
অমিত শাহের নির্দেশ! সাফল্য আনতে বিজেপি শুরু করেছে ২৩ দফা কর্মসূচি
সংগঠনে কোনও ফাঁকিবাজি নয়। ফাঁকফোকরও বরদাস্ত নয়। তাতে নজরদারি করতেই আনা হয়েছে পাঁচ জোনের জন্য বাছাই করা পাঁচ নেতাকে। এঁরা সবাই অমিত শাহের খুবই কাছের বলেই পরিচিত। ২৩ দফা কর্মসূচির কাজ তাঁরা শুরু করে দিয়েছেন।
২৩ দফা কর্মসূচি পালনের নির্দেশ
বঙ্গ জয়ে বিজেপির ফর্মুলা ২৩। ২৩ দফা কর্মসূচি পালন করলেই বিজেপির ২০০ আসন নিশ্চিত বলেই জানিয়েছেন অমিত শাহ। সূত্রের খবর এমনটাই। এব্যাপারে বুথস্তরে কর্মীদের জনসংযোগে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মেরা বুথ সবসে মজবুত, কর্মসূচি পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। বুথস্তরে গিয়ে সাংসদ ও অন্য নেতাদের কথা বলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বেশি করে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিজেপির লক্ষ্য পিরামিড গড়ে তোলা
জেলা থেকে বুথস্তর পর্যন্ত মজবুত সংগঠন অনেকটাই গড়ে উঠেছে। তাকে আরও শক্তিশালী করতে চায় বিজেপি। । এদিন এমনটাই জানিয়েছেন, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। তিনি বলেছেন, সংগঠন পিরামিডের মতো হলেই লড়াই সম্ভব। তাকেই এবার মজবুত করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
শুরু হয়ে গিয়েছে কাজ
২৩ দফা কর্মসূচি পালনের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। এদিন সকাল থেকে রাজ্যে বিজেপির ৫ টি সাংগঠনিক জোনে কাজ শুরু করেছেন আলাদা আলাদা পাঁচ নেতা। মূল লক্ষ্য জনসংযোগ বাড়ানো। এবং সংগঠনের ফাঁকফোকর বোজানো।
২০০-র বেশি আসন জিতবে বিজেপি
অমিত শাহ রাজ্যে এসে ২০০ আসনের টার্গেট দিয়েছিলেন। এব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে বিজয়বর্গীয় বলেন, ২০০-র বেশি আসন জিতবে বিজেপি। দুই-তৃতীয়াংশ আসনে জিতে সরকার গঠন করবে বিজেপি। তিনি বলেন, বিজেপির এই দাবিতে অনেকে হাসতে পারেন। লোকসভা নির্বাচনের সময় বিজেপি যখন দাবিল করেছিল তারা ২২ টি আসনে জিতবে, অনেকেই হেসেছিলেন। তিনি বলেন, যখন বিজেপি ১৮ লটি আসনে জিতল এবং একাধিক আসন ৫ থেকে ১০ হাজার ভোটে হারল তখন মানুষ বুঝতে পেরেছে বিজেপি কোন ধরনের পরিকল্পনা করেছিল।
বিহারের থেকে ভাল ফল হবে বাংলায়
বিহারের ফল প্রকাশের দিন কৈলাশ বিজয়বর্গীয় বাংলার সম্ভাব্য ফল সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। সেই সময় তিনি বলেছিলেন, বিহারের থেকে অনেক ভাল ফল হবে বাংলায়। বাংলায় বিজেপি অনেক বড় ব্যবধানে জয়ী হবে। তিনি বলেছিলেন, বিজেপি নেতারা যখন মানুষের মধ্যে যাচ্ছেন, মানুষের বিরক্তির কথা তাঁরা বুঝতে পারছেন। অন্যদিকে সাধারণ মানুষও বিজেপি নেতাদের ভালবাসা ও স্নেহ দিয়ে কাছে টেনে নিচ্ছেন।
বাংলা হবে সোনার বাংলা
এদিন কৈলাশ বিজয়বর্গীয় বলেন, বাংলাকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলা হবে। বিজেপি কর্মীরা তারই শপথ করেছেন। ফলে কোনও ভয়ের সামনে না ঝুঁকে পরিস্থিতির মোকাবিলা করা হবে। বাংলায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হবে।
মোদী জাদুতে ভরসা
কৈলাশ বিজয়বর্গীয় আগেই বলেছেন, সারা দেশে এখনও মোদীর জাদু বজায় রয়েছে। ফলে শুধু বিহারেই নয়, রাজ্যে রাজ্যে উপনির্বাচনের অধিকাংশ আসনে জয়ী হয়েছে বিজেপি। ফলে সারা দেশ জুড়ে মোদীর জাদু এখনও টের পাওয়া যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি।
আগে আন্দোলন পরে আসন, বাম-কংগ্রেস জোটের মন্ত্র নির্ধারণ করলেন অধীর-সূর্যরা