ফের তৃণমূলকে ধাক্কা উত্তরবঙ্গে! কেশিয়ারির পথ ধরে একের পর এক পঞ্চায়েত দখলের পথে বিজেপি
সাপ্টিবাড়ির পর এবার ময়নাগুড়ি। সেখানকার পদমতি ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এবার বিজেপির দখলে।
সাপ্টিবাড়ির পর এবার ময়নাগুড়ি। সেখানকার পদমতি ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এবার বিজেপির দখলে। পঞ্চায়েতের প্রধান উপপ্রধান-সহ পাঁচ তৃণমূল কংগ্রেস সদস্য বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। ১১ সদস্য বিশিষ্ট পঞ্চায়েতে এখন বিজেপির দখলে ছয়জন। ভবিষ্যতে আরও যোগ দিতে পারেন বলে দাবি করা হয়েছে বিজেপির তরফে।
এই সপ্তাহের শুরুর দিকে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়ারি পঞ্চায়েত দখল করার খবর এসেছিল। প্রধান, উপপ্রধান-সহ ১৫ সদস্যের অনেকেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ির সাপ্টিবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করেছিল বিজেপি। এবার বিজেপি দখল করল জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ির পদমতি গ্রাম পঞ্চায়েত।
জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ির পদমতি গ্রাম পঞ্চায়েতে ১১ আসনের দশটিই ছিল তৃণমূলের দখলে। ১ টি ছিল বিজেপির। শুক্রবার ওই পঞ্চায়েতের প্রধান উপপ্রধান-সহ ৫ সদস্য বিজেপিতে যোগ দেন। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠের নিরিখে পঞ্চায়েত চলে গেল বিজেপির দখলে। যদিও স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, ভবিষ্যতে আরও সদস্য তাদের দলে যোগ দেবেন।
২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে পশ্চিমবঙ্গে বারবার বিরোধীদের তরফে তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলা ও ভয় দেখানোর অভিযোগ করা হয়েছে। ৩৪ শতাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছিল তৃণমূল। তখন তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের স্লোগানে সন্তুষ্ট হওয়া ওইসব আসনে কোনও প্রার্থী পায়নি বিরোধীরা। ঘটনা যে তা নয়, ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের ফল বেরনোর পর তা বোঝা যাচ্ছে। উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ প্রায় প্রতিদিনই কোনও না কোনও পঞ্চায়েতের দখল নেওয়ার খবর আসছে।