মমতার সঙ্গে পাল্লা দিতে ৪০০ জনের টিম গড়ল বিজেপি! মিশন ২০১৯-এ নয়া কৌশল
সংগঠনকে এখনও সেই স্তরে পৌঁছনো যায়নি, যে স্তরে গেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো মহাশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করা যায়। তাই সংগঠনকে মজবুত করতে এবার নয়া কৌশল অবলম্বন করল বিজেপি।
রাজ্যে পরিবর্তনের আওয়াজ তুলেছেন বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতারা। তারপরই জঙ্গলমহলে পঞ্চায়েত ভোটের সাফল্য বিজেপির পালে হাওয়া লাগিয়ে দিয়েছে। কিন্তু সংগঠনকে এখনও সেই স্তরে পৌঁছনো যায়নি, যে স্তরে গেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো মহাশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করা যায়। তাই সংগঠনকে মজবুত করতে এবার নয়া কৌশল অবলম্বন করল বিজেপি।
আসানসোলে
বিজেপির
বিশেষ
বৈঠকে
কেন্দ্রীয়
নেতৃত্ব
ও
রাজ্যস্তরের
শীর্ষনেতৃত্ব
সর্বসম্মত
সিদ্ধান্ত
নিল
সংগঠন
বাড়াতে
প্রতিটি
জেলায়
বিশেষ
অভিযান
চালানোর।
সেজন্য
৪০০
জনকে
নিয়ে
দল
গঠন
করা
হল।
তাঁদের
ছোট
ছোট
দলে
ভেঙে
প্রতিটি
বুথে
গিয়ে
সংগঠন
বাড়াতে
নির্দেশ
দেওয়া
হল।
তাঁরা
প্রতি
বুথে
গিয়ে
বুথ
সভাপতিদের
সঙ্গে
বৈঠক
করবেন।
প্রয়োজনীয়
নির্দেশ
দেবেন।
সেইসঙ্গে
দলের
প্রকৃত
অবস্থা
বুঝে
তা
দলের
শীর্ষ
নেতৃত্বের
কাছে
রিপোর্ট
করবে
ওই
বিশেষ
দল।
বিজেপির
শীর্ষ
নেতৃত্বের
কাছে
রিপোর্ট এসেছে, বহু বুথে বিজেপির কর্মী সংখ্যা ৫০ জনও নেই। কেন কর্মী সংখ্যা বাড়ছে না দলের, তা খতিয়ে দেখতেই এই বিশেষ ব্যবস্থা।
বিজেপির রাজ্য পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয় বলেন, তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গেলে প্রতিটি বুথ শক্তিশালী করতে হবে। তা না হলে সংগঠনকে মজবুত করা যাবে না। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কথায়, ইগোর লড়াই ছাড়তে হবে। সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে চলতে হবে। দলে নতুনদের জায়গা করে দিতে হবে।
[আরও পড়ুন:মমতা-মায়ার পর প্রিয়াংকা! রাজীব-তনয়াকে সামনে এনে বাজিমাতের চাল কংগ্রেসের]
বিজেপির তরফে দুদিনের বৈঠকে প্রতিটি জেলা সভাপতিদের জন্য একাধিক কর্মসূচি স্থির করে দেওয়া হয়। সবথেকে বেশি জোর দেওয়ার কথা বলা হয় সংগঠনে। তারপর রথযাত্রা বের হবে, সেই রথের পরিক্রমা নিয়ে প্রস্তুতি নিতে হবে জেলাস্তরে। জেলাস্তর থেকে তা যেন ব্লকস্তরে, ব্লকস্তর থেকে বুথস্তরে অনতিবলম্বে ছড়িয়ে পড়ে। মোট কথা, নিচুস্তরের সংগঠন মজবুত করতে হবে। সেজন্যই এই নয়া কৌশল অবলম্বন বিজেপির।