বিজেপির সভায় ভিড় নেই! ফিরতে হচ্ছে দিল্লির নেতৃত্বকে, এ কীসের লক্ষণ বঙ্গের ভোটে
বিজেপির সভায় ভিড় নেই! ফিরতে হচ্ছে দিল্লির নেতৃত্বকে, এ কীসের লক্ষণ বঙ্গের ভোটে
বিজেপি আওয়াজ তুলেছে- একুশে সাফ হবে তৃণমূল। বাংলায় ফের পরিবর্তন আসছে, এটাই হবে আসল পরিবর্তন। কিন্তু বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের সভা অন্য কথা বলছে। সভার চিত্র দেখে বোঝার উপায় নেই, বিজেপি আদৌ তৃণমূলকে হারিয়ে বাংলার ক্ষমতা দখলের জায়গায় আছে। বাংলার নির্বাচনী জনসভার চিত্র দেখে বিজেপির সাংগঠনিক দুর্বলতাকেই দায়ী করছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
ডেলি প্যাসেঞ্জারি করলেও কেন্দ্রীয় নেতাদের সভায় ভিড় নেই
বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা বাংলার নির্বাচন চলাকালীন ডেলি প্যাসেঞ্জারি শুরু করে দিয়েছেন। মোদী-শাহ থেকে শুরু করে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ঘরঘাট করে ফেলেছেন বাংলাকে। প্রতিদিন আসছেন, প্রতিদিন ফিরে যাচ্ছেন। কিন্তু মোদী-শাহ বাদ দিলে কোনও কেন্দ্রীয় নেতার সভাতেই ভিড় হচ্ছে না।
জেপি নাড্ডার মতো নেতার সভায় যদি পর্যাপ্ত ভিড় না থাকে!
নির্বাচনী জনসভায় ভিড় না হওয়ায় বিজেপি পড়েছে মহাসংকটে। জেপি নাড্ডার মতো নেতার সভায় যদি পর্যাপ্ত ভিড় না থাকে, তা বিজেপির পক্ষে খুবই শঙ্কার এবং বাংলার রাজনৈতিক মহলেও তা অর্থবহ। যোগী আদিত্যনাথ থেকে জেপি নাড্ডা, ধর্মেন্দ্র প্রধান থেকে শিবরাজ চৌহান- কারও সভাতেও তেমন ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।
শ্রীরামপুরের সভায় এলেন না নাড্ডা, বাতিল হল চুঁচুড়ার সভা
এর ফলে নির্বাচনের মুখে অস্বস্তি বাড়িয়ে বাতিল করে দিতে হচ্ছে সভা। নতুবা জেপি নাড্ডার মতো ব্যক্তিত্বরা সভা না করেই ফিরে যাচ্ছেন। তেমনই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল সোমবার। শ্রীরামপুরের সভায় ভিড় কম থাকায় এলেন না নাড্ডা। আর তাঁর চুঁচুড়ার সভা বাতিল করে দেওয়া হল। তিনি কলকাতার রোড শো করেই ফিরে গেলেন দিল্লিতে।
একের পর এক সভা বাতিলে প্রশ্নের মুখে বিজেপি
এদিন শ্রীরামপুরের সভা জেপি নাড্ডার প্রচার সূচিতে ছিল। তা সত্ত্বেও তাঁর না আসা বিজেপিকে প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিয়েছে। বিজেপি বিরোধীরা বিশেষ করে তৃণমূল কংগ্রেস তা নিয়ে খোঁচা দিতেও ছাড়ছে না। বিজেপির সাফাই জরুরি বৈঠকের কারণেই তাঁকে ফিরতে হয়েছে দিল্লিতে। আর শ্রীরামপুরে সভায় তিনি সময়ে পৌঁছতে পারেননি।
প্রথম দফার ঝাড়গ্রাম থেকে তৃতীয় দফায় শ্রীরামপুর-চুঁচুড়া
কিন্তু তা নয় এক-আধবার হবে। এতবার কেন নাড্ডার সভা বাতিলের ঘটনা ঘটবে! এর আগে ঝাড়গ্রামে সভা না করেই ফিরতে হয়েছিল জেপি নাড্ডাকে। প্রথম দফা ভোটের আগে ঝাড়গ্রামে সভা না করেই ফিরে আসতে হয় তাঁকে। কারণ সেই ভিড় না হওয়া। তারপর বালিতে বিজেপির রোড শোয়ের মাঝপথেই ফিরে যান নাড্ডা। এবার শ্রীরামপুর ও চুঁচুড়ায় সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি ঘটল।
জেপি নাড্ডার সভাতেও লোক হচ্ছে না, তা ইঙ্গিতবহ
শুধু জেপি নাড্ডার ক্ষেত্রেই নয়, বিজেপির অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতাদের ক্ষেত্রেই ভিড় দেখা যাচ্ছে না। মোদী-শাহ বা বাংলার কতিপয় নেতার ক্ষেত্রে যেমনটা দেখা যাচ্ছে, তেমনটা দেখা যাচ্ছে না কেন্দ্রীয় নেতাদের ক্ষেত্রে। এমনকী বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সভাতেও লোক হচ্ছে না, তা ইঙ্গিতবহ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
কারণ দর্শাতে গিয়ে বিজেপির বিড়ম্বনার শেষ নেই
যোগী আদিত্যনাথ থেকে শুরু করে শিবরাজ সিং চৌহান, ধর্মেন্দ্র প্রধানরা নিয়ম করে বাংলায় ভোট প্রচারে আসছেন। কিন্তু ভিনরাজ্যের নেতাদের সমাবেশে তেমন চোখে পড়ার মতো ভিড় করতে পারছে না বিজেপি। ফলে তৃণমূল-সহ বিরোধীদের কটাক্ষ সহ্য করতে হচ্ছে। জেপি নাড্ডার মতো শীর্ষ নেতৃত্বের সভায় ভিড় না হওয়ার কারণ দর্শাতে গিয়ে বিজেপির বিড়ম্বনার শেষ নেই।
তৃতীয় দফাতেও বাংলায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী, মুকুলের জন্যে বরাদ্দ থাকছে চতুর্থ দফা