মাকড়ায় বিজেপির কেন্দ্রীয় দলকে ঢুকতে বাধা, গ্রেফতার নাকভি-সহ কেন্দ্রীয় ও রাজ্য প্রতিনিধিরা
পাড়ুই থেকে চার কিলোমিটার দূরে পুলিশের ব্যারিকেট ভেঙে এগোতে গেলেই রে রে করে তেড়ে আসে পুলিশ। মুক্তার আব্বাস নাকভির নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় বিজেপি দল ও রাজ্য বিজেপি নেতাদের ঢুকতে বাধা পুলিশ। শুরু হয় ধ্বস্তাধ্বস্তি। পুলিশের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় কোনও অবস্থাতেই কোনও রাজনৈতিক দলকে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়। এর পরেও বিজেপি নেতারা ঢোকার চেষ্টা করলে তাদের আটক করা হয় ও পরে গ্রেফতার করা হয়। পাড়ুই থানায় নিয়ে যাওয়া হয়ে বিজেপি নেতাদের। সেখানে পরে জামিনের ভিত্তিতে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছেন বিরোধীরা। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ মুক্তার আব্বাস নাকভি জানিয়েছেন, "রাজ্য সরকার আমাদের গ্রামে ঢোকা নিয়ে যে শক্তি প্রয়োগ করছে তার যদি সিকি ভাগও রাজ্যে অরাজকতা, জঙ্গী দমনের জন্য প্রয়োগ করত তাহলে পশ্চিমবঙ্গেরই উপকার হত। পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক । এবিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট আমরা দিল্লিতে জমা দেব।"
এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছেন বিরোধীরা। রাহুল সিনহার কথায় এই ঘটনা অত্যন্ত অগণতান্ত্রিক। বীরভূমের আইনশৃঙ্খলা পদদলিত করেছে তৃণমূল। তাই চায় না কোনও রাজনৈতিক দল গ্রামে ঢুকে আসল দৃশ্যটা দেখুক। তাই এইভাবে আটকানো হল কেন্দ্রীয় দলকে। কেন্দ্রীয় ৩ প্রতিনিধি এবং রাজ্যের এক প্রতিনিধিকে ঢুকতে দেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছিল পুলিশের কাছে। তাও মানা হয়নি। তবে এই ঘটনায় সারা দেশের কাছে তৃণমূলের ভাবমূর্তিটা পৌছে গেল। এই ঘটনা প্রমাণ করে দিল যে সিপিএমের জমানা শেষ হলেও তৃণমূলের আমলেও সন্ত্রাসের চিত্রটা একই রয়ে গিয়েছে।
এই ঘটনার প্রতিবাদে আগামীকাল শুক্রবার রাজ্যজুড়ে ধিক্কার দিবস পালন করবে বিজেপি।