সিঙ্গুরে টাটাদের ফিরিয়ে শিল্পস্থাপনের লক্ষ্যে সমাবেশ! মমতাকে চ্যালেঞ্জ বিজেপির
সিঙ্গুরে কৃষক আন্দোলনের উপর ভিত্তি করেই একটা সরকারের পতন হয়েছিল, একটা সরকারের উত্থান। পরিবর্তন ঘটেছিল রাজ্যে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল মমতার সরকার।
সিঙ্গুরে কৃষক আন্দোলনের উপর ভিত্তি করেই একটা সরকারের পতন হয়েছিল, একটা সরকারের উত্থান। পরিবর্তন ঘটেছিল রাজ্যে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল মমতার সরকার। এবার সেই সিঙ্গুরে শিল্পস্থাপনের দাবি তুলে মমতার সরকারকে হিমঘরে পাঠাতে চাইছে বিজেপি। লোকসভায় বিজেপির জয়ের পর সিঙ্গুরে দাবি উঠছে, কৃষি নয়, শিল্প চাই।
বিজেপির হুগলি জেলা নেতৃত্বের তরফে এই সপ্তাহেই সিঙ্গুর শিল্পের দাবিতে সমাবেশ করা হচ্ছে। হুগলি জেলা বিজেপির সমাবেশ ১৪ জুন। সেই সমাবেশে নেতৃত্ব দেবেন নব্য নির্বাচিত সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, সিঙ্গুরে টাটাদের ফেরত আনবেন। সিঙ্গুরে শিল্প আনবেন।
রাজ্যে কর্মসংস্থান তৈরি করাই মূল লক্ষ্য বিজেপির। সেই লক্ষ্যেই এখন থেকে কাজে নেমে পড়তে চাইছে বিজেপি। মমতা বন্যোকরপাধ্যায়ের আন্দোলনের জেরে সিঙ্গুর থেকে শিল্প বিদায় নিয়েছিল। কৃষি জমিতে ন্যানো কারখানার প্রতিবাদে সেদিন মমতার আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়েছিল বিজেপি। মমতাকে সমর্থন করে পাশে দাঁড়িয়েছিলেন রাহুল সিনহা থেকে রাজনাথ সিং প্রত্যেকেই।
কিন্তু বিজেপি মনে করছে, এখন পরিস্থিতি বদলেছে। সিঙ্গুরে প্রয়োজনীয়তাও বদলেছে। তারপর টাটারা সিঙ্গুর ছাড়ার পর রাজ্যে কোনও শিল্পও আসেনি। তাই এখন সময় এসেছে রাজ্যে ফের শিল্পকে ফিরিয়ে আনার। আর এই কাজে সিঙ্গুরই হবে শিল্পের উৎকৃষ্ট স্থান। কেননা সিঙ্গুর আন্দোলনেই ধাক্কা খায়েছে রাজ্যের শিল্প সম্ভাবনা।
সেদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়িয়ে যে মানুষটা আন্দোলনের বন্যা বইয়ে দিয়েছিলেন, সেই মুকুল রাযের মুখেই এখন স্বীকারোক্তি সেদিন শিল্পকে জলাঞ্জলি দিয়ে ভুল হয়েছিল। তার খেসারত দিতে হচ্ছে বাংলাকে। কোনও শিল্পই আসছে না। তাই টাটাদের ফিরিয়ে সিঙ্গুর ফের প্রায়শ্চিত্য করতে প্রস্তুত।
মুকুল রায় স্বীকার করেছেন যে টাটাদের কারখানার বিরোধিতার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। একইভাবে বিজেপি নেতৃত্বও সেদিনের সিদ্ধান্ত থেকে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে এখন সিঙ্গুর শিল্প চাইছে। দেরিতে হলেও বোধোদয় হয়েছে। বিশেষ করে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে পরিবর্তনের মাটিতে তৃণমূলের পরাজয় বিজেপিকে আরও উৎসাহী করে তুলেছে।